
উচ্চশিক্ষা গ্রহণের তাগিদে বিদেশে যাত্রা করেন অনেকেই। ঘর-বাড়ি, আত্মীয়-স্বজন সবাইকে ছেড়ে বাইরে চলে যান অনেকেই। বিদেশে গিয়ে শিক্ষাগ্রহণ করতে অনেক কষ্ট করে থাকেন। বিদেশে পড়াশোনার খরচ চালাতে অনেক ছাত্র-ছাত্রীকেই সে দেশে কাজ খুঁজতে হয়। সারাদিন পড়া আর সন্ধ্যার পর থেকে কাজ- এই কঠিন ভাবে কাটে জীবন। দীর্ঘ কষ্টের পর পড়াশোনা শেষ করে মেলে চাকরি।
বাইরে থেকে দেখে মনে হয়, বিদেশে পড়াশোনা করা বা সে দেশে থেকে চাকরি করা সহজ। কিন্তু, সেই পরিস্থিতি যারা কাটিয়েছেন তারাই জানেন তার সত্যতা।
এবার এক ছাত্রের জীবনের কঠিন চিত্র এল সকলের সামনে। বাংলাদেশের ২৬ বছর বয়সী এক যুবক জাপানে গিয়েছিলেন পড়াশোনা করতে। মহম্মদ আফরিজি বিন আপন পড়াশোনায় ছোট থেকেই ভালো। সে অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে জাপানে ছিলেন। সদ্য প্রয়াত হলেন সেই ছাত্র। অনাহারে ও মানসিক অবসাদের কারণে প্রয়াত হন মহম্মদ আফরিজি বিন আপন।
দীর্ঘদিন ধরে জটিলতার মধ্যে কাটছিল জীবন। টিউশন ফি দিতে পারছিলেন না। অর্থের অভাবে বাড়িতে জল ও বিদ্যুৎ-র সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছিল। এমনকী, ফোনের সুবিধাও হারিয়েছিলেন তিনি।
তীব্র হতাশা ও অপুষ্টিতে ভুগছলেন এই ২৬ বছর বয়সী বাংলাদেশী ছাত্র। তাতেও কষ্ট করে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে নানান সমস্যা দেখা দিয়েছিল। আর শেষ রক্ষা হল না। সদ্য তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হল তাঁর নিথর দেহ।
তাঁর প্রতিবেশীরা জানান, ১৫ দিন ঘরে তাঁকে দেখা যায়নি। যদিও কেউ কেই খাবার রেখে গিয়েছিল। তবুও তিনি দরজা খুলতে পারেননি। কারণ তাঁর দুর্বলতা। সাহায্য পৌঁছানোর আগেই প্রয়াত হন হম্মদ আফরিজি বিন আপন। পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। একজন যুবকের বিদেশে থেকে পড়াশোনা করার ইচ্ছার যে এমন পরিণতি হতে পারে তা কেউ আশা করেননি। এই খবর ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে দুঃখপ্রকাশ করেছেন সকলে।