শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিভিন্ন অভিযোগের সত্য জানতে কয়েকটি তদন্ত কমিশন গঠন করছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী মহম্মদ ইউনুস সকরকার।
শেখ হাসিনার গুমঘর-কেলেঙ্কারির সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে দিল্লির। বাংলাদেশের ভারত বিদ্বেষের নয়া রূপ। ক্ষমতায় আসার পরই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী মহম্মদ ইউনুস শেখ হাসিনার গুমঘর বা আয়না ঘর নিয়ে সরব ছিলে। অভিযোগ ছিল বিরোধীদের গুমঘর বা আয়না ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে অধিকাংশই আর কোনও দিন বাইরে বার হতে পারেননি। ক্ষমতায় আসার পর কয়েকজন জীবিত ব্যক্তিকে রেহাই দিয়েছিল বলেও দাবি অন্তর্বর্তী মহম্মদ ইউনুস সরকারের। কিন্তু এবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দাবি করেছে শেখ হাসিনার গুমকাণ্ডের সঙ্গে যোগ রয়েছে নতুন দিল্লি। তেমনই প্রতিবেশন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা বিএসএস।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিভিন্ন অভিযোগের সত্য জানতে কয়েকটি তদন্ত কমিশন গঠন করছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী মহম্মদ ইউনুস সকরকার। যারমধ্যে একটি হল আয়নাঘর বা গুমঘর-কাণ্ড। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুস ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিশন সম্প্রতি একটি রিপোর্ট তুলে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। তাতেই বলা হয়েছে হাসিনার আমলে গুমঘর কাণ্ডে ভারতের যোগ রয়েছে। তবে এখনেই শেষ নয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এখনও কিছু বাংলাদেশি বন্দি ভারতের জেলে আটকে থাকতে পারেন। দেশেই আইন মহলে এজাতীয় গুজব রয়েছে বলেও জানিয়েছে তদন্ত কমিশন।
তদন্ত কমিশন রিপোর্টে বলেছে, 'ভারতে এখনও কিছু বাংলাদেশি বন্দি আটকে থাকতে পারেন। দেশের বিদেশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আমাদের প্রস্তাব তাদের দ্রুত চিহ্নিত করা হোক। কারণ আমাদের পক্ষে বাংলাদেশের সীমানার বাইরে কিছু করা সম্ভব নয়।'
ভারতের সঙ্গে যথেষ্ট ঘনিষ্ট ছিলেন শেখ হাসিনা। এই বিষয়টিতে ভাল চোখে দেখছে না ইউনুস সরকার। আর সেই কারণে তদন্ত রিপেোর্টে ভারত বিদ্বেষ ফুটে উঠেছে। কারণ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, হাসিনার আমলে ভারত- বাংলাদেশ বন্দি বিনিময় করা হয়েছে। রিপোর্টে দুটি ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। একটি সুখরঞ্জন বালি ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের মামলার কথা হয়েছে। সুখরঞ্জন বালিকে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তাঁকে পাওয়া গিয়েছিল ভারতের জেল থেকে। বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনের প্রায় একই অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
গুমঘর কাণ্ডের তদন্তে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে , হাসিনার আমলে বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষকে গুম করা হয়েছিল। হাসিনার সঙ্গে তাঁর উপদেষ্টা ও মন্ত্রীরা এই বিষয়ে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। রিপোর্ট বলা হয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় ১৬৭৬টি গুমের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যারমধ্যে তদন্ত হচ্ছে ৭৬৮টি অভিযোগের। ২৭ শতাংশ মানুষকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।