
অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। নানান জটিলতা চলছে অনেক দিন ধরে। এরই মাঝে দেশে ফিরতে চান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার রাতে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে এক ভার্চুয়াল বার্তায় সে কথা বোঝানোর চেষ্টা করলেন আওয়ামী লীগের নেত্রী।
আওয়ামী লীগের সমাজমাধ্যমের পাতা থেকে হাসিনার বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার হয়। নিজের বক্তৃতার পরে কয়েকজন সাধারণ মহিলার সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের দাবি, ওই মহিলা বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলনের সময় আক্রান্ত পুলিশকর্মীর স্ত্রী। তিনি বলেন, তাঁর স্বামী কিছুই রেখে যাননি পরিবারের জন্য। ঘরে সন্তান আছে। এই অবস্থায় হাসিনার সাহায্য চান।
এর উত্তরে হাসিনা বলেন, অবশ্যই আমি সাহায্য করব। আমি আসব। তিনি আরও বলেন, আমি আছি। আমি অবশ্যই এর বিচার কোনও না কোনও দিন করব। ওরা যতই দায়মুক্তি দিক, এই হত্যার দায়মুক্তি হয় না। হত্যার বিচার হয়। আমার বাবা-মা, তিন ভাইকে যখন হত্যা করেছিল, তখনও দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছি। কিন্তু আমি তাদের বিচার করেছি। এই পুলিশহত্যার বিচারও আমি করব একদিন।
সোমবার রাতে ওই ভার্চুয়াল আলোচনায় হাসিনা পুলিশ পরিবারের সদস্যদের আশ্বাস দেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর যা যা সাহায্য প্রয়োজন, তা করা হবে। তবে, এর জন্য কিছুটা সময় লাগবেও বলেন। তিনি বলেন, ধৈর্য ধরুন, অপেক্ষা করুন। যখন আমি দেশে ফিরতে পারব, প্রত্যেকটি পরিবারকে সাহায্য করব। হত্যাকারীদের বিচারও করব।
এদিকে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করতে বিশেষ অভিযান চলছে। নাম শয়তানের খোঁজ। গোটা বাংলাদেশজুড়ে হাজার হাজার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এখন শুরু হয়েছে অপারেশন ডেভিল হান্ট। কে ডেভিল, কাকে খুঁজছে? এরই সঙ্গে মৃত পুলিশকর্মীর পরিবারের পরিস্থিতির কথা তুলে বলেন অন্তর্বর্তী সরকার দেশ চালাতে ব্যর্থ।