
আফগানিস্তানের মতই তালিবানি শাসনের ছায়া পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশে। সবকিছু দেখে-জেনেবুঝেও চোখ বন্ধ করে বসে থাকার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান শান্তির নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে যথেষ্ট সক্রিয় হচ্ছে উগ্র ইসমানি দল জামাত। জামাত-চর মোনাই জোটের এক শীর্ষ নেতা বাংলাদেশকে তালিবানি আফগানিস্তানের মত ঢেলে সাজানোর কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন। যদিও এখনও বাংলাদেশের নির্বাচন বাকি রয়েছে।
মহম্মদ ইউনুস জামানার শুরুর দিকেই বাংলাদেশের একাধিক বাজারে মহিলাদের যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছি। যারমধ্যে প্রথম ছিল গোপালগঞ্জ বাজার। সেখানে মৌলবাদীরা মহিলাদের বাইরে বের হওয়ার ওপর ফতোয়া জারি করেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে পারিপার্সিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করে তা তুলে নেওয়া হয়।
কিন্তু আওয়ামী লিগের দাবি জামাতের নেতা সম্প্রতি একটি সাক্ষৎকারে যা যা দাবি করেছেন, তা যদি কার্যকর হল তাহলে বাংলাদেশ দ্বিতীয় আফগানিস্তানে পরিণত হবে। যার কাজ এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে। জামাত -চর মোনাই জোটের নেতা দাবি করেছেন, মহিলাদের গৃহবন্দি করে রাখা হবে। রাস্তায় মহিলাদের একা চলাফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে, বোরখা পরা বাধ্যতামূলক হবে, সংখ্যালঘুদের অধিকার খর্ব করা হবে। মহিলাদের পড়াশুনা নিয়ে কোনও কথা না বললেন ওই নেতা ইঙ্গিত দিয়েছেন, মহিলাদের পড়াশুনার থেকে গৃহস্থালীর কাজ শেখা অনেক জরুরি।
গত ১ জুলাই আমেরিকাবাসী বাংলাগদেশি সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিনকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন জামাত-চর মোনাই জোটের নেতা পীর মুফতি সৈয়দ মহম্মদ ফয়জুল করিম। তিনি বলেছিলেন জাতীয় নির্বাচনে জিতে সরকার যখন গঠন করা হবে তখন বাংলাদেশ তার শরিয়া আইন চালু করবে। উগ্র ইসলামপন্থী নেতা করিম দাবি করেন, নতুন সরকার গঠন করা হলেই বাংলাদশে শরিয়া আইন লাগু হবে। তিনি জানিয়েছেন, আফগানিস্তান মডেল মেনেই কাজ করবে বাংলাদেশ সরকার। যদিও বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদেরও সরকারে সামিল হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে তিনি জানিয়েছেন, ব্রিটেন, আমেরিকা আর রাশিয়ার ভাল জিনিস যেগুলি শরিয়া আইনের বিরুদ্ধে নয় সেগুলি গ্রহণ করা হবে। নতুন সংবিধান রচনার কথাও প্রকারান্তে বলেছেন তিনি।
২০২৪ সালের অগস্ট মাসে হাসিনা সরকারে ক্ষমতাচ্যুত করে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। কোটা বিরোধী আন্দোলন থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। তারপর থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলেও বাংলাদেশ ক্রমশই বাড়ছে উগ্র ইসলামবাদী মানসিকতা। বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি উগ্রইসলামবাদী গোষ্ঠীও সক্রিয়। সেই সংস্থাগুলি ক্রমাগত ভারত বিরোধী উস্কানি দিয়ে চলছে।