পাকিস্তানের সেনা সদস্যদের বাংলাদেশ সফর। কথা হল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনাও হয়।
পাকিস্তান জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
রবিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে জানায়, “বৈঠকে তারা বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্রমবর্ধমান গুরুত্বও অন্তর্ভুক্ত ছিল।”
25
সরকারি বিবৃতি
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “দুই দেশের মধ্যেকার ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং জনগণের মধ্যেকার সম্পর্কের ওপর জোর দিয়ে জেনারেল মির্জা বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য পাকিস্তানের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ এবং বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিশাল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন।”
35
পাক সেনার বার্তা
জেনারেল মির্জা বলেন, “আমাদের দুই দেশ একে অপরকে সমর্থন করবে।” তিনি আরও যোগ করেন যে করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে একটি দ্বিমুখী শিপিং রুট ইতিমধ্যে চালু হয়েছে এবং কয়েক মাসের মধ্যে ঢাকা-করাচি বিমান রুটও চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উভয় পক্ষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে উত্তেজনা কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেয়। তারা বিভিন্ন অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য অ-রাষ্ট্রীয় কুচক্রীদের দ্বারা ভুল তথ্য ছড়ানো এবং সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহারের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ নিয়েও মতবিনিময় করেন।
55
উপস্থিত পাক হাইকমিশনার
প্রধান উপদেষ্টা মন্তব্য করেন, “ভুয়া খবর ও ভুল তথ্যে সোশ্যাল মিডিয়া ভেসে গেছে। এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিপদ মোকাবেলায় একটি সমন্বিত বৈশ্বিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন।” বৈঠকে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, সিনিয়র সচিব ও এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন।