
বুধবার অনশন শুরুর দিনই জোর করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। অনশন তুলে নেওয়ার জন্য নরমে-গরমে চাপও তৈরি করা হয়েছিল। খাবার খাওয়ানোর চেষ্টাও করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও কৌশলই কাজে দেয়নি। ফের অনশনস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন সুস্মিতা কর। শুক্রবার ঢাকার রমনা কালী মন্দিরের বাইরে তাঁর অনশনের তৃতীয় দিন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি সুস্মিতা বলছেন, 'আমি অনশন ভাঙব না। আমি মরে গেলে আমার পরিবারকে দেখবেন আপনারা।' বাংলাদেশ সরকার বুঝতে পেরেছে, এই মেয়েকে সহজে বাগে আনা যাবে না। এই কারণে এবার সুস্মিতার পরিবারকে আঘাত করা হচ্ছে। মহম্মদ ইউনূস সরকারের কৌশল হল, পরিবারকে আক্রমণ করে সুস্মিতাকে নরম হতে বাধ্য করবে। প্রকাশ্যে সুস্মিতার উপর হামলা চালানো বা তাঁকে জোর করে হাসপাতালে তুলে নিয়ে গেলে সারা বিশ্বের সামনে বাংলাদেশ সরকারের স্বরূপ প্রকাশ হয়ে যাবে। এই কারণে অন্যভাবে সুস্মিতাকে সবক শেখানোর কৌশল নিয়েছেন ইউনূসরা।
ভয়ঙ্কর অভিযোগ সুস্মিতার
এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে শুক্রবার সুস্মিতা জানিয়েছেন, 'আমার কথা ভাববেন না। আমি মরে গেলেও দুঃখ নেই। কিন্তু আমার পরিবারকে হেনস্থা করা হচ্ছে। আমার বাবা একজন ব্যবসায়ী। সরকারি যে সকল কাজ বাবা করত, বাবার সব বিল আটকে দেওয়া হয়েছে।' এভাবেই সুস্মিতার উপর চাপ তৈরি করছে বাংলাদেশ সরকার। তবে সুস্মিতা অনশন চালিয়ে যেতে বধ্যপরিকর। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জন্য তিনি আট দফা দাবি আদায় করতে চান। নিজের কথা ভাবছেন না এই তরুণী। তিনি ধরেই নিয়েছেন মৃত্যু হবে। কিন্তু নিজে প্রাণ বিসর্জন দিয়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার পাইয়ে দেওয়াই সুস্মিতার লক্ষ্য।
সুস্মিতার পাশে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা
এই লড়াইয়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের পাচ্ছেন সুস্মিতা। অনেকেই তাঁর আন্দোলনের প্রতি সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এখনও সংখ্যালঘুদের প্রাপ্য অধিকার দেওয়ার বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে সুস্মিতার ক্ষোভ বাড়ছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেবে ভারত? সিপিএম সাংসদের প্রশ্নে অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র