
বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনার বিচারের ব্যবস্থা করা তো দূর, অত্যাচারের কথা স্বীকারই করতে চাননি। কিন্তু তাঁর মুখে চুন-কালি মাখিয়ে দিল রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগের রিপোর্ট। এই রিপোর্টে অবশ্য শুধু ইউনূসই না, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকেও আঙুল তোলা হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগের রিপোর্ট বলছে, হাসিনা ভারতে পালিয়ে আসার আগে থাকতেই সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার শুরু হয়েছিল। হিন্দুদের পাশাপাশি অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপরেও কম অত্যাচার হচ্ছে না। চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলে আদিবাসীদের উপর চরম অত্যাচার হয়নি। খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, আহমদিয়া মুসলিমরাও অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পাননি। ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগের রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় এবং পরে হিন্দু সম্প্রদায়, আহমদিয়া মুসলিম, চট্টাগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলে আদিবাসীদের উপর হামলা চালিয়েছে হিংস্র জনতা। তাঁদের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ধর্মস্থানেও হামলা চালানো হয়েছে।’
নিজের জালেই ফেঁসে গেলেন ইউনূস
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন হাসিনা। তার আগে থাকতেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা-অত্যাচার শুরু হয়েছিল। হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ইউনূস যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগকে বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য দল পাঠাতে বলেছিলেন। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগের রিপোর্টে বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা উঠে আসবে না। কিন্তু এই রিপোর্টে বিপদে পড়ে গেলেন ইউনূস। তিনি এতদিন দাবি করে আসছিলেন, সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ ভুয়ো, ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কিন্তু রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগের রিপোর্ট অস্বীকার করতে পারছেন না ইউনূস।
হিন্দুদের উপর চরম অত্যাচার
রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে সরকার পতনের পর হিন্দুদের বাড়ি, দোকান, ধর্মীয় স্থানে হামলা চালানো হয়েছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চল এবং ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুরের মতো সংবেদনশীল অঞ্চলের পাশাপাশি সিলেট, খুলনা, রংপুরেও হিন্দুদের উপর হামলা চালানো হয়েছে।’ রাষ্ট্রপুঞ্জের এই রিপোর্টের ভিত্তিতে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনার বিচারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের সংগঠনের সদস্যরা।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
ধৈর্য ধরুন, অপেক্ষা করুন, আমি আসব- দেশে ফেরার বার্তা দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
কন্ডোমের পর এবার স্যানেটারি ন্যাপকিনে ক্ষোভ মৌলবাদীদের! বইমেলায় বন্ধ করা হল ২টি স্টল