বন্যা আর করোনার ডেল্টা স্ট্রেইন, দুইয়ের ষাঁড়াশি আক্রমণে প্রাণ ওষ্ঠাগত চিনাদের

বন্যা আর করোনাভাইরাসের সংক্রমণে নতুন করে বিপদের মুখোমুখি চিন। করোনা সংক্রমণ রুখতে জারি করা হয়েছে লকডাউন। বন্যায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। 

Asianet News Bangla | Published : Aug 2, 2021 12:19 PM IST

এক দিকে বন্যার প্রাদুর্ভাব আর অন্যদিকে করোনাভাইরাসের ডেল্টা স্ট্রেইনের প্রভাব। এই দুয়ের ষাড়াশি আক্রমণে রীতিমত বিপর্যস্ত চিন। এখনও পর্যন্ত বন্যার কবলে পড়ে হেনান প্রদেশে মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে নতুন করে লকডাউন জারি করতে হয়েছে চিনে। সোমবার চিনে নতুন করে করোনাভাইরাসে ৫৫ জন সংক্রমিত হয়েছে। যার মধ্যে ২০টি শহরে ১২ জনেরও বেশি মানুষ রয়েছেন যাঁদের শরীরের ডেল্টার সংক্রমণের চিহ্ন পাওয়া গেছে। যার অধিকাংশ হুনান প্রদেশের বাসিন্দা। 

Tokyo Olympic 2020- ভারতের সোনার মেয়ে পিভি সিন্ধুর অন্য ছবি, মন কেড়ে নেবে আপনারও

অসম-মিজোরাম সংঘর্ষের জন্য দায়ী কংগ্রেস, প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে নালিশ বিজেপি সাংসদের

লাদেনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না পাকিস্তান, 'জামাই আদরেই' রেখেছে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে

সংক্রমণ রুখতে কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ নতুন করে গ্রহণ করেছে চিন।  গণ-করোনা পরীক্ষার নির্দেশ আর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বেইজিংসহ চিনের প্রায় সমস্ত বড় শহরগুলির বাসিন্দাদের দ্রুততার সঙ্গে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত হুনান প্রদেশের প্রায় ১২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা হয়েছে মাত্র তিন দিনের মধ্যে। পাশাপাশি দ্রুততার সঙ্গে টিকাকরণ কর্মসূচিও চালাচ্ছে তিন। পরিস্থিতি এখনও জটিল বলেও দাবি করেছে চিনা সরকার। গত ২ সপ্তাহের মধ্যে চিনে প্রায় ৩৬০ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন যার মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ৯ সাফাইকর্মীও রয়েছে। আর সেই কারণেই ঝাংজিয়াজি শুক্রবার থেকেই লকডাউনের কথা ঘোষণা করে দিয়েছে। সংক্রমণ রুখতে গ্রীষ্ণের ছুটিতে বিজেপি ও দেশী পর্যটনদের বেজিংএর যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জিংপিং সরকার। একই সঙ্গে প্রয়োজন ছাড়া কোনও মানুষকে বেজিং ত্যাগ না করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

অন্যদিকে বন্য়ার কারণে এখনও বিপর্যস্ত চিন। হেনান প্রদেশে গত এক মাসে বন্যার কারণে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ভারী বৃষ্টি আর প্রবল বন্যার কারণে ৫০ জন নিখোঁজ রয়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের কারমেই ১৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রায় ৯ হাজার বাড়ি ভেঙে বা তলিয়ে গেছে বন্যার জলে। ঝেংঝু শহরে রীতিমত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে আরও সময় লাগবে বলেও জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। 

ঝেংঝু শহরের মেয়র জানিয়েছেন একটি মাল্টিপ্লেক্সের ভূগর্ভস্ত পার্কিং লটে ১৩ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া হেচে। পাতালরেলে ডল ঢুকে পড়ায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাতাল রেল চলাচলও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বন্যার জন্য পাতাল রেলে প্রবেশ করেছিল। বেশ কয়েকটি বাঁধ আর জলাশয়ের আবস্থাও শোচনীয়। 

"

Share this article
click me!