সংক্ষিপ্ত


Tokyo Olympics 2020-তে ব্রোঞ্জ জয়ী ভারতীয় শাটলার পিভি সিন্ধুর অন্য জীবন। সেখানে ক্রীড়াবিদের অন্য পরিচয় পাবেন আপনি। 

চিনের বিং জিয়াওকে পরাজিত করে টোকিও অলিম্পিক্স ২০২০-এর ব্রোঞ্জ জিতেছেন পিভি সিন্ধু। ভারতের তিনি তৃতীয় পদকটি এনে দিয়েছেছেন। ভারতীয় ব্যাডমিন্টনে সোনার মেয়ে হিসেবে তিনি পরিচিত। এবার এক নজরে দেখে নি এই ক্রীড়াবিদ সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য খুব কম মানুষই জানেন। 

১. সিন্ধুর বাবা-মা উভয়ই ক্রীড়াবিদ 
পুসারলা ভঙ্কটা সিন্ধুর জন্মগ্রহণ করেন ১৯৯৫ সালের ৫ জুলাই। তাঁর বাবা ও মা পিভি রামানা ও পি বিজয়া- দুজনেই জাতীয় পর্যায়ের ভলিবল খেলোয়াড়াল ছিলেন। তাই ছোট থেকেই সিন্ধুর খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ ছিল সহজাত। বাবা-মাও তাঁকে কোনও দিন নিরাশ করেননি। 

View post on Instagram
 

২. প্রশিক্ষণ নিতে ১২০ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি
সিন্ধু খুব অল্প বয়স থেকেই ব্যাডমিন্টনের প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু এটি খুব সহজ ছিল না। প্রশিক্ষণের জন্য তাঁকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে হব। তাঁর বাবা ভোর ৩টে ঘুম থেকে তুলে পুল্লেলা গোপীচাঁদের একাডেমিতে পনিয়ে আসতেন। তাঁদের বাড়ি থেকে একাডেমির দূরত্ব ছিল ৬০ কিলোমিটার। পরবর্তীকালে তিনি গোপীনাথের একাডেমির কাছে বাড়ি ভাড়ানিয়ে থাকতে শুরু করেন। 

কাশ্মীরের 'দেশদ্রোহীদের' জব্দ করতে কড়া পুলিশ, সরকারি চাকরি ও পাসপোর্ট দিতে এবার একাধিক শর্ত

View post on Instagram
 

৩. বোনের বিয়েতেও থাকতে পারেননি 
পিভি সিন্ধুর বড় বোন পি দিব্যা। দুই বোনের এমনিতে খুবই ভাব। কিন্তু ২০১২ সালে দিব্যার যখন বিয়ে তখন হায়দরাবাদের বাইরে ছিলেন। বোনের বিয়েতেও উপস্থিত থাকতে পারেননি। সেই সময় লখনৌতে ছিলেন তিনি। অংশগ্রহণ করেছিলেন একটি ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায়। হাসি মুখেই তা মেনে নিয়েছিলেন আজকের সিন্ধু। 

মাত্র ১ নম্বরের জন্য পিছিয়ে অর্চিষ্মান, জানুন CBSE টপারের স্বপ্ন কী

সন্ত্রাসবাদ দমনই লক্ষ্য UNSC-র সভাপতির দায়িত্বে নিয়ে জানাল ভারত, ভাষণ দেবেন মোদীও

৪. ফোনের সঙ্গে বিচ্ছেদ 
এক বা দুদিন নয়। ২০১৬ সালে অলিম্পিক্স প্রতিযোগিতার আগে সাড়ে তিন মাস নিজের প্রিয় স্মার্ট ফোনের থেকে দূরে রাখা হয়েছিল পিভি সিন্ধুকে। তাঁর তৎকালীন কোট গোপীচাঁদ ফোন ব্যবহার করতে দেননি। কঠোর নিয়মানুবর্তিতার মধ্যেই রেখেছিলেন তাঁকে। সেই সময় সিন্ধু দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে রূপোর পদক পেয়েছিলেন। পদক জয়ের পর গোপীনাথ বলেছিলেন তাঁর প্রথম কাজ হবে সিন্ধুকে তাঁর ফোন ফিরিয়ে দেওয়া। 

৫. শচীনের উপহার
২০১৬সের অলিম্পিক্সে দ্বিতীয় হওয়ার সিন্ধুর কাছে বিরল একটি মুহূর্ত ছিল। আর সেই কথা স্মরণ করে মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেন্ডুলকারও তাঁকে পুরষ্কৃত করেছিলেন। সিন্ধুকে রিও অলিম্পিক্সের সাফল্যের জন্য একটি বিএমডাব্লু গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন। 

View post on Instagram
 

৬. সাঁতার আর ধ্যানই অবসর বিনোদন 
সাঁতার কাটতে ভালোবাসেন পিভি সিন্ধু। ধ্যান করতেও পছন্দ করেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন রিচার্জ হওয়ার জন্য সাঁতার আর ধ্যান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে শান্ত রাখতে ধ্যান প্রয়োজনীয় বলেও জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই তাঁকে সুইমিং পুলে দেখা যায়। 

৭. কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী
পিভি সিন্ধু সবথেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী কিন্তু কোনও ব্যটমিন্টন প্লেয়ার নয়। সম্প্রতী তিনি ইন্সটাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন যেখানে কতিনি বলেনে ছোট্ট ভাগ্নে আরিয়ানই তাঁরা প্রতিযোগী। পাশাপাশি তাঁর সবথেকে বড় সমর্থক। 

View post on Instagram
 

৮ খাদ্যপ্রেমী 
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে খাদ্যরসিক বলেও দাবি করেন পিভি সিন্ধু। নানা ধরনের সুস্বাদু খাবার খেতে বা চেখে দেখতে তাঁর আপত্তি নেই। কেক পেস্ট্রির পাশাপাশি তাঁর পছন্দ মিষ্টি দই। রিও অলিম্পিক্সের পর তাঁর তৎকালীন কোচ গোপীনাথ বলেছিলেন তিনি সিন্ধুকে দীর্ঘ দিন মিষ্টি দই খেতে দেননি। 

YouTube video player