স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলল দুনিয়া। পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়লেও চিনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ পড়ল ভারত মহাসাগরে। এমনটাই জানাল চিন। তবে চিনের দাবিতে এখনও সিলমোহর দেয়নি আমেরিকা। চিনের বৃহত্তম রকেটের ২২ মেট্রিক টনের অংশ স্থলভাগে, বিশেষ করে জনবসতিতে আছড়ে পড়লে বড় ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। তবে শেষ অবধি এই রকেট মলদ্বীপের ভারত মহাসাগরেই পড়ে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে রকেটির সামনের দিকটা পুড়ে যায়। রকেটের বাকি অংশও পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সময় জ্বলে গিয়েছিল। গতবার চিনের রকেটের অংশ পড়েছিল আটলান্টিক মহাসাগরে।
আরও পড়ুন: ঐতিহ্যের টাইমস স্কোয়ারে রক্তের দাগ, বন্দুকবাজের এলোপাথাড়ি গুলিতে শিশু সহ আহত ৩
চিনের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, রবিবার সকালে 'লং মার্চ ৫বি রকেট'-র অংশে মলদ্বীপের পশ্চিম অংশে ভারত মহাসাগরে ভেঙে পড়েছে। নিউ ইয়র্ক বা মাদ্রিদের মত শহরে আছড়ে পড়ার সম্ভবনা ছিল চিনের ২৩ মেট্রিক টনের এই রকেটের ধ্বংসাবশেষ। আর তাই চিন্তায় ছিলেন অনেকেই। করোনা দুনিয়ায় চিনা রকেটের বিপদ নিয়ে বুঁদ ছিল গোটা বিশ্ব। পৃথিবীর কক্ষপথে চিন বানাচ্ছে এক মহাকাশ স্টেশন। 'তিয়ানহে মহাকাশ স্টেশন'প্রকল্পের মাধ্যমে মহাকাশে রাজের স্বপ্ন দেখছে বেজিং। সেই স্বপ্নের অংশ হিসেবেই এই শক্তিশালী রকেট বানিয়েছেল চিনা মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
আরও পড়ুন: কান দিতে হবে না কারোর কথায়, মোদী-কে পরামর্শ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নেতাদের
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আছড়ে পড়ার পর এই রকেটের ধ্বংসাবশেষ দুনিয়ার যে কোনও স্থানেই পড়ার সম্ভাবনা ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারানো রকেটটি বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই ধাক্কা খেয়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় আর তারপর সমস্ত ধ্বংসাবশেষ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়বে। রকেটটি পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল বলে ট্র্যাক করাতেও অসুবিধা হচ্ছিল। রকেটের উপরের স্তরটিকে ডিঅ্যাক্টিভেট করা হয়েছিল। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে রকেটির সামনের দিকটা পুড়ে যাবে। রকেটের বাকি অংশও পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সময় জ্বলে গিয়েছিল।
আজ সকাল থেকেই (ভারতীয় সময়) সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড করতে থাকে চিনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ দুনিয়া পড়া নিয়ে যাবতীয় আপডেট। সৌদি আরব থেকে কয়েকজন টুইটার ইউজার, ভিডিও পোস্ট করে জানান তাদের দেশের আকাশে উড়তে দেখা গিয়েছে রকেটটি। এরপর জোর জল্পনা শুরু হয়।