গ্যালওয়ান সংঘর্ষের এক বছর হতে না হতেই আবারও ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায়া শক্তি বাড়াচ্ছে চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মি। হোটন বিমান ঘাঁটি আর তিব্বতের নিয়াচিচি বিমান ঘাঁটিতে চিনা বাহিনীর সক্রিয়তা লক্ষ্য করা গেছে। পিএলএ (PLA)এর এজাতীয় পদক্ষেপ ভারতের লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে রীতিমত হুমকির সামিল বলেও মনে করছে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর চিনা সেনা ভারতের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় চিনা সেনা ভারতীয় বিমান বাহিনীর হুমকি মোকাবিলা করার জন্য ইতিমধ্যেই S-400 স্কোয়াড্রন মোতায়েন করেছে।
মঙ্গলবারই চিফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত বলেছেন বিমান প্রতিরক্ষ থিয়েটার কমান্ড স্থাপনের প্রস্তাবিত বৃহত্তর প্রসঙ্গে বিমান প্রতিরক্ষা আরও জটিল হয়ে উঠেছে। তিনি বলেছিলেন, এখন পুরো বিষয়টি এখন কেবল বিমান আর হেলিকপ্টারের মধ্য সীমাবদ্ধ নেই। যা আরও বড় আকার নিচ্ছে। বাড়ছে পরিধিও।
পূর্ব লাদাখ সেক্টরের বেশ কিছু এলাকায় এখনও চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে চোখে চোখ রেখে অবস্থান করছে ভারতীয় সেনা। জিনজিয়াংএর হোটন বিমান ঘাঁটি ও তিব্বতের নিয়াচিচি বিমান ঘাঁটিতে চিনা সেনার এই শক্তি বৃদ্ধি পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। অন্যদিকে অরুণাচল প্রদেশ সংলগ্ন এলাকায় চিনা সেনার শক্তি বৃদ্ধি জাতীয় সুরক্ষা পরিকল্পনাকারীদের বিমান প্রতিরক্ষা আর পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা গ্রহণে বাধ্য করছে।
আজও দেশবাসীকে অনুপ্রাণিত করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, স্মরণ করেলন মোদী ও রাজীব চন্দ্রশেখর ...
চলতি বছর ডিসেম্বরে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে S-400 সিস্টেমের পাঁচটি স্কোয়াড্রন পাবে বলেও আশা করা হচ্ছে। বিমান বিরোধী ব্যবস্থাটি যথেষ্ট শক্তিশালী। এটি ৪০০ কিলোমিটার দূরে শক্র পক্ষের যেকোনও বিমান বা অস্ত্র বা যোদ্ধা ধ্বংস করতে পারে। এটি লক্ষ্য নির্ধারণে অব্যর্থ।
উত্তর সীমান্তে চিনা হুমকি মোকাবিলা করার জন্য আরও বিমান বাহিনী আরও বেশি করে মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও বিমান বাহিনী ১৮টি বিমান ছাড়াও ৪২টি স্কোয়াড্রন রাখছে। কিন্তু আগামী দিনে আরও আরও বাড়ান হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। রাফাল যুদ্ধবিমান রাশিয়ার মিগ আর S-400র তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। আগামী দিনে এটি গেম চেঞ্জার হতে পারে।
কোভিড ১৯এর নতুন বিপদ ডেল্টা প্লাস, জানুন করোনা টিকাগুলি কতটা কার্যকর ...
তবে এটি স্পষ্ট যে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে বিমান বাহিনী যথেষ্ট গুরুত্বপাবে। ভারতে চিনের পাশাপাশি পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও লড়াই করতে হতে পারে। যদিও বর্তমানে পাকিস্তানের থেকে ভারতকে হুমকি দেওয়ার ক্ষেত্রে চিন অনেক বেশি সক্রিয়। যদিও উত্তর সীমান্তে গত এক বছর ধরে চিনা সেনার হুমকি প্রতিহত করে আসছে ভারতীয় সেনা আর বিমান বাহিনী।