চিন যোগ সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়া করোনা-মুক্ত দেশ, অবাক করার মত দাবি কিম জং উনের

  • উত্তর কোরিয়া করোনা মুক্ত দেশ 
  • বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানাল কিম জং উন 
  • ৮ হাজার করোনা পরীক্ষা হয়েছে 
  • এক জনেরও ধরা পড়েনি করোনা সংক্রমণ 

Asianet News Bangla | Published : Jun 22, 2021 10:57 AM IST

তবে কি উত্তর কোরিয়াই বিশ্বের একমাত্র করোনামুক্ত দেশ? আরও একবার এই প্রশ্নটা খুঁচিয়ে তুললেন  উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উন।  গত ১০ জুনের মধ্যে ৩০ হাজারেও বেশি মানুষের কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একজনও করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এমনই এক অবিশ্বাস্য তথ্য কিম জং উনের প্রশাসন তুলে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হাতে। আর সেই তথ্য নিয়েই তৈরি হয়েছে জল্পনা। কারণ কিম প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিলেন তাঁর দেশে কোনও করোনা আক্রান্ত মানুষ নেই। 

করোনার তৃতীয় তরঙ্গ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ রাহুল গান্ধীর, 'জ্ঞানীবাবা' কটাক্ষ স্মৃতি ইরানির ...

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে একটি মঙ্গলবার একটি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই বলা হয়েছে গত ৪-১০ জুন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ায় ৭ হাজার ৩৩৩ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে ১৪৯ জনে ইনফ্লুয়েজ্ঞায় ভুগছেন। সংশ্লিষ্টদের শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা রয়েছে। 

ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর অনিরুদ্ধ বসু, নারদ মামলা থেকে সরলেন সুপ্রিম কোর্টের বাঙালি বিচারপতি ...

বিশেজ্ঞরা যথারীতি উত্তর কোরিয়ার এই দাবিতে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। কারণ চিনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক রীতিমত গাড়। দুটি দেশ বেশ কিছুটা সীমান্তও ভাগ করে। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও ভালো। এই অবস্থায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রথম দিকে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেনি উত্তর কোরিয়া। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক অটুট ছিল। এই অবস্থায় চিন থেকে করোনা মহামারির এই দেশে ছড়িয়ে পড়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু করোনা মহামারির রুখে দেওয়ার মত উপযুক্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উত্তর কোরিয়ার নেই। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়া পর্যটকদের সেদেশে ঢুকতে দিচ্ছে না। বের করে দেওয়া হয়েছে কূটনীতিকদেরও। গোটা বিষয়টিকেই জাতীয় অস্বত্বের বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। 

ইরানের রাজনৈতিক নির্বাচন আর আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তার প্রভাব ...

সম্প্রতি কিম জং উনের উপস্থিতিতে সে দেশে একটি উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকেই দেশের আর্থিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে বলে সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞ তোলার জন্যও সাওয়াল করা হয়েছে। দেশে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় কৃষি ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। তাতেই বিশেষজ্ঞদের অনুমান করোনা সংক্রমণ চিন্তা বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের। 

Share this article
click me!