চিন থেকেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল করোনাভাইরাস
এখন অবশ্য সেই দেশের পরিস্থিতি যথেষ্ঠ ভালো
লকডজাউন শিথিল হতেই সেখানে দেখা গেল চুম্বন প্রতিযোগিতা
যা নিয়ে খোদ চিনেই উঠেছে সমালোচনার ঝড়
চিনেই প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের কথা শোনা গিয়েছিল। সেখান থেকে এখন এই ভাইরাস বিশ্বব্যপী সংকট তৈরি করেছে। অনেক দেশই এই পরস্থিতির জন্য আঙুল ততুলছে চিনের দিকেই। এমনকী তাদের উহানের ভাইরাস সংক্রান্ত গবেষণাগারে এই ভাইরাস তৈরি করা হয়েছে জৈব অস্ত্র হিসাবে, নয়তো পরীক্ষার সময় যথেষ্ঠ সুরক্ষা নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তারপরেও তাদের বোঝায় কে? গোটা বিশ্ব যেখানে করোনাভাইরাস-কে ঠেকাতে লকডাউন আর সামাজিক দূরত্বের যন্ত্রণা ভোগ করছে, সেখানে চিনে লকডাউন উঠতেই সেখানকার এক কারখানার চুম্বন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হল।
লকডাউন-এর পর চিনের সুজোউ শহরের দীর্ঘদিন বাদে 'ইউএয়া' নামে একটি আসবাব তৈরির কারখানা খুলছিল। সেই আনন্দেই সেই কারখানায় অন্তত ১০ জন দম্পতিকে চুম্বন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। চুম্বন প্রতিযোগিতার বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেইসব ছবি ও ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, কারখানার ১০ জন পুরুষ ও ১০ জন মহিলা কর্মী ভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য পরা মাস্ক সরিয়ে একে অপরকে চুম্বন করছেন। উপস্থিত বাকিরা চিৎকার করে, হাততালি দিয়ে তাদের উৎসাহ দিচ্ছেন। তবে তাদের ঠোঁটের মাঝে ছিল প্লেক্সিগ্লাস-এর বেড়া।
এই ছবি ভিডিওগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল যেমন হয়েছে, সমান তালে সমালোচনার মুখেও পড়েছে। করোনাভাইরাস-এর প্রাদুর্ভাবের পরিস্থিতিতে যেখানে অনেক দেশে অত্যন্ত কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম পালন করা হচ্ছে, সেখানে এই ধরণের উদ্ভট উদযাপনকে অনেকেই বলছেন 'অপরাধ'। বহির্বিশ্ব থেকে তো বটেই, চিনেও কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। চিনের নিজস্ব সোশ্য়াল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম-এ ১০ কোটিরও বেশি মানুষ এই ভিডিও ও ছবিতে মন্তব্য করেছেন বলে জানা গিয়েছে। অধিকাংশই নিন্দায় সরব হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব নির্দেশিকাকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করার জন্য কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও উঠেছে।
'শেষ ইচ্ছাটা পূরণ করুন', মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সজল চোখে আর্তি মৃত করোনা-যোদ্ধার স্ত্রীর
লকডাউনে বাপের বাড়িতে আটকে বউ, রাগে প্রেমিকাকেই বিয়ে করে ঘরে তুললেন স্বামী
করোনাভাইরাস ঢুকে পড়তে পারে 'নিচ দিয়ে', সুরক্ষার হাস্যকর দাওয়াই দিলেন পাক মন্ত্রী
কারখানার মালিক, মা-এর সাফাই, 'সংক্রমণ ঠেকাতে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে কাঁচ (প্লেক্সিগ্লাস) রাখা হয়েছিল। তাদের মধ্যে কয়েকজন বিবাহিত-ও ছিলেন, যাঁরা দুজনেই আমার কারখানায় কাজ করেন।এই মহামারির জন্য সবাই খুব উদ্বেগে ছিল। কেউ একমুহুর্তও রিল্যাক্স করতে পারেনি। কাজ করতে গিয়ে ভুল হতে পারে। তাই সবার মন একটু হাল্কা করার জন্য আমি এই চুম্বন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলাম'। মা আরও জানিয়েছেন, কোনওরকম সংক্রমণ যাতে না ঘটে, তার জন্য তারা যে শুধু চুম্বনরত নারী পুরুষের মাঝে প্লেক্সিগ্লাস-এর বেড়া দিয়েছিলেন তাই নয়, সেই বিশেষ কাচগুলিকে বেশ কয়েকবার অ্যালকোহল দিয়ে জীবানুমুক্তও করেছিলেন। কিন্তু, তাতে সমালোচনা থামছে না।