খসড়ার বিবৃতি অনুযায়ী আমেরিকা, চিন, ভারত, রাশিয়াসহ প্রায় ২০টি দেশ এই লক্ষ্যে একমত হয়েছে। প্রসঙ্গত বিশ্বের মোট গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমণের ৮০ শতাংশের জন্য দাবি পাঁচটি দেশ।
রবিবার জি- ২০ (G-20) শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিনে চলতি শতাব্দীর মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাশাপাশি বিশ্বের তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত কারার বিষয়েও অর্থপূর্ণ ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এই লক্ষ্য নিয়েই জি-২০ সম্মেলনে গোষ্ঠীভূক্ত রাষ্ট্রনেতারা দায়বদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিশ্ব উষ্ণায়ন (Climate Change) ও কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যেই একটি খসড়াও তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা। যদিও এই লক্ষ্যমাত্রা কতটা সফল হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সূত্রের খবর খসড়ার বিবৃতি অনুযায়ী আমেরিকা, চিন, ভারত, রাশিয়াসহ প্রায় ২০টি দেশ এই লক্ষ্যে একমত হয়েছে। প্রসঙ্গত বিশ্বের মোট গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমণের ৮০ শতাংশের জন্য দাবি পাঁচটি দেশ। এই দেশগুলির মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে চিন। তারপরই রয়েছে আমেরিকা, ভারত, ব্রাজিল আর জার্মানি। এই পাঁচটি দেশই জি-২০গোষ্ঠীভুক্ত দেশ। এই সম্মেলনের পরেই গ্লাসগোয়ে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে রাষ্ট্র সংঘের সম্মেলন। জি-২- সম্মেলন শেষ হওয়ার পরেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন গ্লাসগোতে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যে সম্মেলন রয়েছে- তা যদি সফল না হয় তাহলে গোটা পরিকল্পনাই ভেস্তে যাবে।
Gold Island: সোনায় মোড়া দ্বীপের সন্ধান, মুসি নদীর জলে হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার গুপ্তধনের হদিশ
Sameer Wankhede: রেহাই নেই সমীর ওয়াংখেড়ে, নথি দেখতে বাড়িতে তফসিলি জাতি কমিশন
যাইহোক জি-২০ সম্মেলনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে নেট শূন্য কার্বন নির্গনের অর্জনের জন্য ২০৫০ সাল নির্দিষ্ট করা হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কোনও তারিখের উল্লেখ নেই। বিজ্ঞানীরা বলেছেন জলবায়ু পরিবর্তন রোধে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিবৃতিতে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে, কার্বন নির্গমন হ্রাস জলবায়ু পরিবর্তন সীমিত করার দ্রুততম ও সবথেকে ব্যয়বহুল উপায়গুলির মধ্যে একটি।
নথিতে বলা হয়েছে, কী ভাবে কার্বন নির্গমন হ্রাস করা যায় সে সম্পর্কে বর্তমান জাতীয় পরিকল্পনাগুলি প্রয়োজনে আরও শক্তিশালী করতে হবে। প্রয়োজনে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস করতে হবে। নথিতে বলা হয়েছে, ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া ২ ডিগ্রির তুলনায় অনেকটাই কম। তাই গোটা পরিস্থিতি যাতে নাগালের মধ্যে থাকে সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
আভ্যন্তরীন কয়লার ব্যবহার কমানোক ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। যা চিন আর ভারতের কাছে রীতিমত চ্যালেঞ্জের। ইউরোপের দেশগুলি কয়লার ব্যবহার অনেকা কমাতে পারলেও এশিয়াল অর্থনীতি মূলত কয়লার ওপরই দাঁড়িয়ে রয়েছে। চিনের বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম উৎস কয়লা। তাই চিন ও ভারতে কয়লার ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার জন্য আবেদনও জানান হয়েছে। জি-২০ সম্মেলনের নেতারা এই মর্মে একমত যে এটাই বিশ্ববাসীর কাছে শেষ সুযোগ। তাই টেকসই ও রূপায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদনেই জোর দেওয়া জরুরি।