কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হানা, ফের কি উসকে উঠবে ইরাক-আফগানিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতি

Published : Nov 02, 2020, 07:22 PM ISTUpdated : Nov 02, 2020, 07:23 PM IST
কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হানা, ফের কি উসকে উঠবে ইরাক-আফগানিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতি

সংক্ষিপ্ত

সন্ত্রাসবাদী হামলার মুখে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত এবং আরও ২২ জন আহত হামলার সময় উপস্থিত ইরানি রাষ্ট্রদূত ফের কি তৈরি হব যুদ্ধ পরিস্থিতি

সোমবার বড়সড সন্ত্রাসবাদী হামলার মুখে পড়ল কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে এবং গ্রেনেডের আঘাতে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত এবং আরও ২২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। হামলার সময়ে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক বইমেলা উপলক্ষ্যে উপস্থিত ছিলেন আফগানিস্তানে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত। উপস্তিত ছিলেন বহু সংখ্যক ছাত্রছাত্রীও। অনেককেই প্রাণ বাঁচাতে পালাতে দেখা গিয়েছে। এখনও কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলার দায় নেয়নি। বিবৃতি জারি করে হামলায় তাদের কোনও ভূমিকা নেই বলে দাবি করেছে তালিবান-রা।

আফগান সরকারের মুখপাত্র তারিক আরিয়ান জানিয়েছেন তিনজন সন্ত্রাসবাদী এই হামলা চালিয়েছে। তবে আফগান সেনার সঙ্গে মুখোমুখি ,সংঘর্ষে তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে পাঁচ ঘণ্টা ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য থেকে আফগান বাহিনীর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে গিয়েছে জঙ্গিরা। মাঝে মাঝে গ্রেনেড বিস্ফোরণ এবং নাগাড়ে স্বয়ংক্রিয় বন্দুক থেকে গুলি ছুড়ছিল তারা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচিল ঘিরে দাঁড়িয়েছিল আফগান সেনা। অবশেষে, জঙ্গিদের খতম করে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের দখলমুক্ত করে।

আফগান সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে হামলার সময় কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পুস্তক মেলা চলছিল। ইরানের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী সেই বইমেলায় প্রায় ৪০টি ইরানি প্রকাশনা অংশ নেওয়ার কতা ছিল। আর এদিন সেই মেলা উদ্বোধনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন ইরানি রাষ্ট্রদূত বাহাদুর আমিনিয়ান। এছাড়াও হামলার সময় আরও বেশ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগেও আফগানিস্তানের মাটিতে ইরানি কূটনীতিকদের আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে। ১৯৯৮ সালে উত্তর আফগানিস্তানে ইরানি কনস্যুলেটে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছিল। মৃত্যু হয় নয় জন ইরানি কূটনীতিকের। তার জন্য সেই সময়ের তালিবান শাসকদের দায়ী করেছিল ইরান। সেইসঙ্গে ৯৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ  আফগান সীমান্তে সেনা বাড়িয়েছিল। দুই দেশের মধ্যে প্রায় যুদ্ধ বাধার উপক্রম হয়েছিল।

তালেবানরা এই হামলায় জড়িত নয় বলে জানিয়েছে। আর কোনও গোষ্ঠীও এই হামলার দায়ভার নেয়নি। এই অবস্থায় হামলার পিছনে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। গত মাসেই কাবুলের অন্যতম শিয়া অধ্যুষিত এলাকা দাস-ই-বারচি'র এক শিক্ষাকেন্দ্রে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল ইসলামিক স্টেট। ২৪ জন ছাত্র নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিল সেই ঘটনায়। ২০১৪ সালের পর থেকে আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু শিয়া মুসলমানদের বিরুদ্ধে কয়েক ডজন হামলা চালিয়েছে ইসলামিক স্টেট ও তাদের সহযোগী আফগান জঙ্গি সংগঠনগুলি।

PREV
click me!

Recommended Stories

মহাদেশের সঙ্গে মহাদেশের ধাক্কাই কি কাল হবে মানবজাতির বিলুপ্তিকরনের প্রধান কারণ?
নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা, ঢাকায় বন্ধ ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র