গোটা বিশ্ব ত্রস্ত করোনা সংক্রমণে। দিনের পর দিন লাগামছাড়া ভাবে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা আক্রান্ত দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে ইউরোপের ফ্রান্সো। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক আগেই দেড় লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছে। মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ২৯ হাজারেরও বেশি মানুষের। এর মধ্যে জঙ্গি নিধনে বড়সড় ঘোষণা করল ফরাসি সরকার। উত্তর আফ্রিকায় আলকায়দার প্রধান আবদেলমালেক ড্রোকডেলকে তাদের বাহিনী খতম করেছে বলে দাবি করলেন ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। যদিও এখনও পর্যন্ত আল কায়দার তরফে এই খবরের সত্যতা শিকার করা হয়নি।
জেহাদিদের নতুন ঘাঁটি যে উত্তর আফ্রিকা, বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বারবার সেই বিষয়ে সতর্ক করেছে। আর এই উত্তর আফ্রিকায় নিজের অঘোষিত সাম্রাজ্য কায়েম করেছিল ড্রোকডেল। বিদেশিদের অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসাবে লক্ষ লক্ষ ডলার চাইতো এই জঙ্গি প্রধান। পশ্চিম আফ্রিকাতেও ক্রমে নিজের আধিপত্য বাড়াচ্ছিল আবদেলমালেক ড্রোকডেল।
শুক্রবার গভীর রাতে ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি ট্যুইট করে জানান, উত্তর মালিতে ফরাসি বাহিনীর হাতে বুধবার নিধন হয়েছে ড্রোকডেল ও তার সহযোগীদের। তবে কীভাবে ড্রোকডেলকে সনাক্ত করা হয়েছে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর মন্ত্রিসভার এই সদস্য।
জি ৫ সাহেল গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে গত জানুয়ারিতেই বৈঠকে বসেন ফরাসি ফ্রিসেডেন্ট। যার মধ্যে রয়েছে আফ্রিকার মরিতানিয়া, মালি, বুর্কিনা ফাসো, নাইজার ও চাঁদ। সেখানেই জঙ্গিদমনে একটি নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এরপরেই মালির বরখশানে বাহিনীতে ফ্রান্স তাদের আরও অতিরিক্ত ৬০০ সেনা মোতায়েন করে। যার পলে বর্তমানে ওই এলাকায় ৫ হাজারের বেশি ফরাসি সৈন্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: বছরে আয় ১ কোটি, একসঙ্গে ২৫টি স্কুলে পড়িয়ে যোগী রাজ্যে চমকে দিলেন ছাপোষা শিক্ষিকা
গত মার্চেই ড্রোকডেল সাহেল অঞ্চলে ফরাসি বাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে একটি হুমকি ভিডিও প্রকাশ করেছিল। গত কয়েক বছর ধরেই উত্তপ মালিতে নিজের আধিপত্য স্থাপন করেছিল আলকায়দার এই জঙ্গি নেতা। আলজেরিয়ার জঙ্গি নেতা হিসাবে ১৯৯০ দশকে আত্মপ্রকাশ আবদেলমালেকের। ২০০৭ সালে আলেজিরয়ায় রাষ্ট্রসংঘের ভবন লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল এই জঙ্গি।