সালটা ছিল ২০১৯। সেইসময় দাঁড়িপাল্লায় মাপা হয়েছিল কিম জং উনের ওজন। তখন তাঁর ওজন ছিল ১৪০ গ্রাম। তারপর থেকেই মেদ ঝরাতে শুরু করেছেন কিম জং উন।
এ কী হল কিম জং উনের (Kim Jong Un)? ঘুরে ফিরে এই প্রশ্নটিই উঁকি দিচ্ছে বিশ্ববাসীর মনে। কারণ দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর সংস্থা দাবি করছে কোনও বডি ডলব ব্যববার করছেন না উত্তর কোরিয়ার (North Korea) স্বৈরচারী শাসক। সত্যি তিনি ২০ কিলোগ্রাম মেদ ঝরিয়ে ফেলেছেন।
সালটা ছিল ২০১৯। সেইসময় দাঁড়িপাল্লায় মাপা হয়েছিল কিম জং উনের ওজন। তখন তাঁর ওজন ছিল ১৪০ গ্রাম। তারপর থেকেই মেদ ঝরাতে শুরু করেছেন কিম জং উন। এখন তাঁর ওজন অনেকটাই কমে গেছে বলেও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া গুপ্তরাচ সংস্থা। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও কথা বলেনি উত্তর কোরিয়া প্রশাসন। পুরো বিষয়টা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে কয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার তরফে ক্ষমতাসীন দলের প্রতিনিধি কিম বাইউং -কি সাংবাদিকদের বলেছেন, ওজন ট্র্যাকিং মডেল ও উচ্চ রেজোলিউশন ভিডিও ওপর ভিত্তি করেই কিম জং উনের ওজন কমার দাবি করা হচ্ছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কিম বডি ডাবল ব্যবহার করেছেন এই গুজব পুরোপুরি ভিত্তিহীন। গুপ্তচর সংস্থা আরও জানিয়েছে কিম বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার নেতা ঝরঝরে রয়েছেন বলেও মনে করা হচ্ছে।
Pakistan: বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে রক্তাক্ত পাকিস্তান, নিষিদ্ধ সংগঠনের গুলিতে নিহত ৩ পুলিশ কর্মী
Pakistan: ইমরানকে বিপুল পরিমাণে অর্থ সাহায্য, পাকিস্তানের কাছে ত্রাতা হয়ে এলেন সৌদি রাজকুমার
৩৭ বছরের কিম জং উন অতিরিক্ত মোটা ছিলেন। ধূমপায়ী হিসেবেই তাঁর পরিচিতি ছিল। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। গত বছর দীর্ঘ রোগ শয্যায় ছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জল্পনা শুরু হয়েগিয়েছিল। তবে সবকিছু উড়িয়ে দিয়ে তিনি কয়েক মাস পরে প্রকাশ্যে এসেছিলেন। সূত্রের খবর সেই সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁদের পরিবারের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে। তবে বিগত মাসগুলিতে কিমের জনসমাক্ষে উপস্থিতির হার অনেকটাই কম। তবে যতবারই তিনি সামনে এসেছেন ততবারই তাঁকে রোগা দেখিয়েছে। একটা সময় তাঁর হাতে ঘরি নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছিল। গোয়েন্দাদের মতে তিনি ঘড়ি মেপে মেদ কমানোর পথেই হাঁটছেন।
কিম রোগা হন আর যাই হন -- এখনও নিজের পথ থেকে সরে আসেননি। খাদ্য ঘাটতির মুখোমুখি হতে চলেছে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু এখনও পরমাণু বোমা পরীক্ষায় ভাটা পড়েনি দেশটির। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এখনও পরমাণু বোমা পরীক্ষা নীরিক্ষা চলছে। সেপ্টেম্বরে একটি সামরিক কুচকাওয়াজ আর অক্টোবর পারমাণবিক অস্ত্র প্রদর্শনীতে হাজির ছিলেন কিম জং উন।