তালিবানদের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ একটি সংবাদ চ্যানেলের অনুষ্ঠানে বলেছেন 'শ্রমের বিনিয়ম গম' এই নীতি এখনও পর্যন্ত দেশের প্রধান ও বড় শহরগুলিতে চালু করা হয়েছে।
তালিবানরা (Taliban) কাবুল (Kabul) দখল করার পর কেটে গেছে প্রায় ২ মাস। কিন্তু এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেনি আফগানিস্থান (Afghanistan)। উল্টে পরিস্থিতি দিনকে দিন খারাপই হচ্ছে। গোটা দেশই গভীর আর্থিক সংকটে ভুগছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ খিদের জ্বালায় দিন কাটাচ্ছেন। দেশের এই সংটক কাটাতে এক নতুন উদ্যোগ নিয়েছে তালিবান সরকার। শ্রমের বিনিময়ে গম- এই নীতি চালু করছে চলমান খাদ্য সংকট (Food Crisi) কাটাতে।
তালিবানদের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ একটি সংবাদ চ্যানেলের অনুষ্ঠানে বলেছেন 'শ্রমের বিনিয়ম গম' এই নীতি এখনও পর্যন্ত দেশের প্রধান ও বড় শহরগুলিতে চালু করা হয়েছে। ৪০ হাজার পুরুষকে নিয়োগ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। বেকার শ্রমিক যারা কাজের অভাবে অনাহারে রয়েছে তাদেরও অর্থের পরিবর্তে গম দেওয়ার হবে। বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেও জাবিউল্লাহ দাবি করেছেন।
Amit Shah: কাশ্মীর সফরে একদম অন্য মুডে অমিত শাহ, রাত কাটাবেন পুলওয়ামার CRPF ক্যাম্পে
Watch Video: ভূমিকম্পের মধ্যেই সাংবাদিক সম্মেলন, সামান্য বিরতি নেওয়া দুঃখ প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
রাষ্ট্র সংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ফসল কাটার দুমাস পরে আফগানিস্তানের প্রায় ১৯ মিলিয়ন মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ আগামী নভেম্বর থেকে খাবার পাবে না বলেও দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
আফগানিস্তানে খাদ্য সংকটের কারণ মূলত পাব্লিক সার্ভিসের পতন। গোটা দেশে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট আর খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার জন্যই এই সংকট তৈরি হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম একটি বিবৃতিতে বলেছে, বিশ্বের কাছে আফগানিস্তানের খাদ্য সংকট মোকাবিলার জন্য এগিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে। প্রতিবদেন ডেভিড বিসলি বলেছেন আফগানিস্তান সম্প্রতি বিশ্বের সবথেকে খারাপ মানবিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। লক্ষ লক্ষ আফগান আগামী দিনে আনাহার থেকে বাঁচতে দেশ ছাড়তে বাধ্য হবে। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলেও দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পরই বহু মানুষ দেশ ছেড়ে চলে গেছেন আতঙ্কে। দীর্ঘ টালবানার পর তালিবানরা অন্তরবর্তী মন্ত্রিসভা গঠন করলেও এখনও পর্যন্ত আফগানিস্তানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এখনও বহু মানুষই আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যেতে চাইছেন। দেশের এই খাদ্য সংকট যদি অব্যাহত থাকে তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলেও আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। খাদ্য সংকটের পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত দেশটিতে নগদ অর্থেরও অভাব রয়েছে বলেও সূত্রের খবর।