সুদূর বাহরিনে কৃষ্ণমন্দির। বিষয়টি অনেকেই হয়তো জানেন, কিন্তু যাঁরা জানেন না তাঁদের কাছে খবরটি বিস্ময় জাগাবেই। আর সেই সুদূর বাহরিনে অবস্থিত প্রায় ২০০ বছরের পুরনো কৃষ্ণ মন্দিরের পুনর্নিমাণের প্রকল্প চালু করলেন নরেন্দ্র মোদী।
দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বাহরিন-এর মাটিতে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপসাগরীয় দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য অগ্রণী ভুমিকা পালন করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার সেদেশের মাটিতে পা রেখেই বাহরিনের রাজা হামাদ বিবন ইসা আল খালিফা-র সঙ্গে দেখা করেন মোদী। এবং তাঁর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক নানা বিষয়ে আলোচনাও করেন বলে জানা গিয়েছে। প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদীর বাহরিন সফর তাই বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গড়লেন ইতিহাস, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বাহরিন সফরে মোদী
এদিন বাহরিনের মানামায় প্রায় ২০০ বছরের পুরনো কৃষ্ণ মন্দিরে পুজোও দেন নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে যে রুপে কার্ড উদ্বোধন করেন সেই রুপে কার্ড দিয়েই কেনেন প্রসাদও। এদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার টুইট করে জানিয়েছেন, 'বাহরিনের মানুষকে ধন্যবাদ এত ভালবাসা এবং উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য। মানামার প্রায় ২০০ বছরের পুরনো মন্দিরে প্রার্থনা সেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ঐতিহাসিক এই সফর শেষ করলেন। শ্রীনাথজির এই মন্দিরটি বাহরিনের বহুত্ববাদের প্রতীক।'
সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে মোদী, ভূষিত হলেন সেদেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানে
বিদেশ সফর বাতিল করবেন না, প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জেটলির পরিবারের
জানা গিয়েছে প্রায় ৪.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে বাহরিনের ওই শ্রীনাথজির মন্দিরটি পুনর্নিমাণ প্রকল্প গঠন করা হয়েছে। এই নয়া প্রকল্পে ১৬,৫০০ বর্গফুট জমির ওপর প্রায় ৪৫,০০০ বর্গফুট জুড়ে নতুন চারটি তল বিশিষ্ট মন্দির গড়ে তোলা হবে, যার মোট উচ্চতা হলে ৩০ মিটারের কাছাকাছি। সুপ্রাচীন এই মন্দিরে হিন্দু বিবাহ-সহ বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান পালন করার সুযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় বাহরিনকে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এর জন্য পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম স্থানে পরিণত করার চেষ্টাও করা হচ্ছে।