হিন্দু নিধন নিয়ে পাকিস্তান-কে লজ্জার মুখে ফেলল নেপাল, ক্রমে হাওয়া ঘুরছে কাঠমাণ্ডুতে

নেপালেও হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে ক্ষোভের মুখে পাকিস্তান

বিক্ষোভ দেখানো হল পাক দূতাবাসের সামনে

গত ডিসেম্বরে হিন্দু মন্দিরে আগুন ধারনো হয়েছিল পাকিস্তানে

এই বিক্ষোভে নেপালি রাজনীতিতে হাওয়া বদলের গন্ধও পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে

amartya lahiri | Published : Jan 28, 2021 9:59 AM IST / Updated: Feb 18 2021, 11:17 AM IST

পাকিস্তানে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর ধর্মীয় হিংসা নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলে দীর্ঘদিন ধরেই সরব ভারত। এবার এই অঞ্চলের আরও এক দেশে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। বুধবার, নেপালি নাগরিকরা কাঠমান্ডুতে পাক দূতাবাসের বাইরে পাকিস্তানে হিন্দু মন্দিরের অবমাননা ও সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

প্রায় জনা ৪০-এক মানুষ ওই দিন পাক দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে, পাকিস্তানের সরকারের দমন নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। 'পাকিস্তানে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করুন', 'পাকিস্তান থেকে সাবধান'-এর মতো স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছে তাদের। শহরে বিভিন্ন স্থানে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও, পাক বিরোধিতা করার ক্ষেত্রে কাউকেই বাধা দেয়নি কে পি শর্মা ওলির সংখ্যালঘু সরকার। পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে এই বিক্ষোভ সমাবেশ চলে। যা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলিরও নজর এড়ায়নি।

গত ডিসেম্বরে, স্থানীয় মুসলিম আলেমদের নেতৃত্বে শতাধিক স্থানীয় চরমপন্থী পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কারাক জেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন মন্দিরে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। মন্দির অবমাননার সেই নক্কারজনক ঘটনার ভিডিও ক্লিপটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যা ভারতে ও ভারতের বাইরে থাকা ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার করেছিল। বিশ্বের সকল জায়গা থেকে নিন্দা করেছিলেন মানবাধিকার কর্মীরাও।

আরও পড়ুন - মমতা-র লক্ষ্য 'গ্রেটার বাংলাদেশ' গঠন, তিন ছবি তুলে ধরে গুরুতর অভিযোগ দিলীপ ঘোষের

আরও পড়ুন - ভ্যাকসিনের মাঠে চিনকে গোল দিচ্ছে মোদীর 'প্রতিবেশি প্রথম' নীতি, টিকা গেল শ্রীলঙ্কা-বাহারিন

আরও পড়ুন - ৩৭ কৃষক নেতার বিরুদ্ধে 'লুকআউট নোটিশ', দেশত্যাগ আটকাতে ততপর দিল্লি পুলিশ

এদিকে, পাক দূতাবাসের সামনে নির্বিঘ্নে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হওয়াটা, কাঠমাণ্ডুর রাজনীতিতে হাওয়া ঘোরাই ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে সেখানকার কেপি শর্মা ওলি সরকার বেজিং-এর কথাতেই ওঠাবসা করত। কিন্তু, সেই দিন গিয়েছে। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি থেকেই বের করে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্তরী ওলি-কে। আগের সময় হলে চিনের সব আবহাওয়ার বন্ধু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কাঠমাণ্ডুতে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন সম্ভব হত না। 

Share this article
click me!