রোগা হয়ে যাচ্ছেন ১৪০ কেজির কিম, কোনওরকমে কান্না চাপছেন উত্তর কোরিয়াবাসী

  • রোগা হয়ে যাচ্ছেন কিম জং উন
  • প্রকাশ্যে এসেছে একটি ভিডিও
  • কিমকে দেখে উদ্বিগ্ন গোটা দেশ
  • ১০-২০ কেজি ওজন কমিয়েছেন কিম

Asianet News Bangla | Published : Jun 28, 2021 6:46 AM IST

কয়েকদিন ধরেই ভারাক্রান্ত হয়ে রয়েছে উত্তর কোরিয়াবাসীর মন। কান্না চেপে রাখতে না পেরে অনেকে কেঁদেও ফেলছেন। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের ওজন নাকি অনেক কমে গিয়েছে। আর তাঁর স্বাস্থ্য নিয়েই উদ্বিগ্ন দেশবাসী। 

আরও পড়ুন- দারুণ সাফল্য, আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের হদিশ, ধৃতদের মধ্যে ভারতীয়রাও

দীর্ঘদিন ধরেই জনসমক্ষে আসেননি কিম। তাঁর শরীর নিয়ে অনেক দিন ধরেই উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছিল। তিনি সুস্থ আছেন কিনা তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন দেশবাসী। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে আসে একটি ভিডিও। সেখানেই কিমকে দেখে আরও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে গোটা দেশ। 

 

 

রয়টার্সের খবর অনুযায়ী ওই ফুটেজে দেখা যায়, উত্তর কোরিয়ার শাসকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনারি সেশন দেখছেন কিম। তা দেখেই মন ভেঙে গিয়েছে উত্তর কোরিয়াবাসীর। উত্তর কোরিয়ার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, খুঁটিয়ে দেখলে বোঝা যাবে যে কিম কিছুটা রোগা হয়েছেন। মুখ কিছুটা রোগা লাগছিল। সাধারণত ৫ ফুট ৮ ইঞ্চির কিমের ওজন ১৪০ কিলোগ্রাম। কিন্তু, ওই ভিডিও দেখার পর কয়েকজন দাবি করেছেন প্রায় ১০ থেকে ২০ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফেলেছেন কিম।

আরও পড়ুন- বাংলাদেশের মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু একাধিক, আহতরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে

এক ব্যক্তি রয়টার্সকে বলেন,  "আমাদের সম্মানীয় জেনারেল সেক্রেটারিকে রোগা দেখে আমাদের হৃদয় ভেঙে গিয়েছে। প্রত্যেকেই বলছেন যে তাঁরা নিজেদের কান্না কোনওক্রমে চেপে রেখেছেন।" যদিও কী কারণে কিম রোগা হয়েছেন তা অবশ্য জানা যায়নি।  

এদিকে প্রায় এক মাস ধরে জনসমক্ষে কিমের দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর চলতি মাসের শুরুর দিকেই সংবাদমাধ্যমের সামনে এসেছিলেন তিনি। তখনই প্রকাশ্যে এসেছিল তাঁর রোগা হওয়ার বিষয়টি। সিওলের একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল যে, কিম আগের থেকে অনেক রোগা হয়ে গিয়েছেন। তাঁর হাতের ঘড়িই তার প্রমাণ দিচ্ছে। কারণ কবজি রোগা হয়ে যাওয়ার ফলে আরও শক্ত করে বাঁধতে হয়েছে ঘড়িটিকে।  

আরও পড়ুন- ড্রোন এসেছিল পাকিস্তান থেকেই, NIA-র তদন্তে জম্মুর হামলা নিয়ে আর কী তথ্য জানা গেল

উত্তর কোরিয়ার শাসক বরাবরই মদ্যপান ও ধূমপানে আসক্ত। তাঁর পরিবারে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাসও রয়েছে। কিমের বাবা এবং দাদুর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল। তারইমধ্যে গত বছর দীর্ঘদিন জনসমক্ষে আসেননি কিম। তখনই কিমের স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। যদিও সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রকাশ্যে আসেন তিনি। কিন্তু, তাঁর চেহারা দেখে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন দেশবাসী। আবার অনেকে বলছেন তিনি যদি অসুস্থ হতেন তাহলে জনসমক্ষে আসতেন না। কয়েকজন মনে করছেন, পরিবারে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকায় এখন কিছুটা স্বাস্থ্য সচেতন হয়েছেন কিম।

Share this article
click me!