শিখদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সৌলেহা নামে এক পাক মডেলের বিরুদ্ধে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে গতকাল থেকেই সরব হয়েছে ভারতও।
কর্তারপুর সাহিবে(Kartarpur Sahib) পাক মডেলের ফোটোশুটের ঘটনায় মঙ্গলবার থেকেই সরগরম আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহল। শিখদের(Sikh) ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সৌলেহা নামে এক পাক মডেলের বিরুদ্ধে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে গতকাল থেকেই সরব হয়েছে ভারতও। ইতিমধ্যেই কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে ফটোশ্যুটের অভিযোগে সমন পাঠানো হয়েছে পাকিস্তানের(Pakistan) রাষ্ট্রদূতকে।বিদেশ মন্ত্রকের(Foreign Ministry) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচির তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে প্রথম গোটা বিষয়টি সামনে আনা হয়। আর তাতেই চাপ বেড়েছে ইমরান সরকারের উপর।
অন্যদিকে জায়গাটির ধর্মীয় গুরুত্ব ও মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কে জানার পরেও কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে কেন পাকিস্তানের (Pakistan) একটি জনপ্রিয় বস্ত্র বিপণী এবং মডেল ফটোশ্যুট করলেন সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে ভারতের তরফে। গোটা বিষয়টি নিয়ে যাতে তদন্ত করা হয়, সে বিষয়ে পাকিস্তানের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে দিল্লির তরফে। এদিকে চাপ বাড়তেই ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন পাক মডেল। ইনস্টাগ্রামেই একটি পোস্ট দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না। অনিচ্ছাকৃত ভাবেই এটা হয়ে গিয়েছে যদিও তারপরেও কমছে না উদ্বেগ।
আরও পড়ুন-দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ইমেলে কী লিখলেন পরাগ, কৌতূহল বাড়ছে নেটপাড়ায়
ইন্সটা পোস্টে ওই মডেল লেখেন, ‘‘আমি কর্তারপুরে নিজের একটি ছবি দিয়েছিলাম। কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার উদ্দেশ্য আমার ছিল না। ওটা কোনও শুটিংয়েরও ছবি ছিল না। তবে আমার কাছে কারও ভাবাবেগে আঘাত লেগে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।” এদিকে অরিন্দম বাগচি যে বিবৃতি প্রকাশ করেন সেখানে বলা হয়, কর্তারপুর গুরুদ্বারে ফটোশ্যুটের ঘটনায় গোটা বিশ্বের শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করা হয়েছে। গুরুদ্বার শ্রী দরবার সাহিবের পবিত্রতাকে অপমান করার ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এর জন্য আমরা পাকিস্তানের সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে জবাব চাইছি।
অন্যদিকে 'দিল্লি শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটি'-র প্রেসিডেন্ট পরমজিৎ সিং সারনাও এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে দেখা গিয়েছে। ওই জায়গায় মাথা না ঢেকে ছবি তোলা বড়সড় অপরাধ বলে দাবি তাঁর। এদিকে এই বিষয়ে শুরুতে বিশেষ উচ্চবাচ্য না করা হলেও বিষয়টি নিয়ে পরে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। অসমর্থিত সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই আলাদা ভাবে তদন্তও শুরু করে দিয়েছে পাকিস্তানের পুলিশ। তবে দিল্লির প্রশ্নের জবাবে এখনও কোনও উত্তর এসে পৌঁছেছে কিনা সেই বিষয়ে সঠিক ভাবে কিছু জানা যায়নি।