পাকিস্তানে গলা কেটে হত্যা করা হল নামকরা হিন্দু ডাক্তারকে। ডাক্তারের গাড়ি করেই চম্পট দেয় চালক। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি।
আবারও নৃশংস হত্যাকাণ্ড পাকিস্তানে। হিন্দু চিকিৎসকের গলা কেটে খুন করল। অভিযুক্ত তাঁরই গাড়ির ড্রাইভার। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের হায়দরাবাদে। পুলিশ পাকিস্তানের একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, ড্রাইবার একটি ছুরি দিয়ে ডাক্তারের গলা কেটে খুন করেছে। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে। প্রকাশ্যে এসেছে বুধবার। বুধবারই খাইরপুরে নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। গ্রেফতার করা হয়েছে গাড়ির চালককে।
নিহত চিকিৎসকের রাঁধুনি পুলিশকে জানিয়েছে, চালকের সঙ্গে সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন চিকিৎসক। দুজনে একই সঙ্গে বাড়িতে ফেরেন। সেই সময়ই দুই জনের সমস্যা মতবিরোধ হয়। প্রবল কথাকাটি হয়েছিল। রান্নাঘর থেকেই তিনি তাদের কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছিলেন। তারপরই চালক হঠাৎ করে রান্নাঘরে প্রবেশ করে। সেখান থেকে একটি ছুরি নিয়ে বেরিয়ে আসে। তারপর সেই ছুরি দিয়েই চিকিৎসকের গলায় কোপ মারে। রাঁধুনি আরও জানিয়েছিলেন, ডাক্তারের গাড়িটি সেই সময় বাড়ির বাইরে দাঁড় করানো ছিল। সেই গাড়িতে করেই চম্পট দেয় চালক।
নিহত চিকিৎসক ধর্মদেব রাথি হায়দরাবাদের নাম করা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ। তাঁর পসারও ছিল দুর্দান্ত। পাকিস্তানের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী জিয়ান চাঁদ এসারানি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি নিহত ডাক্তারের পরিবারকেও সমবেদনা জানিয়েছেন। পাশাপাশি দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতারেরও নির্দেশ দিয়েছে। যদিও খুনের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে পাকিস্তানের পুলিশ। অন্যদিকে পাকিস্তানেরপিপিলস পাস্টির মহিলা শাখার প্রধান ফ্যারিয়াল তালপুল এই হত্যার নিন্দা করেছেন। বলেছেন এই খুবই দুঃখজনক। চিকিৎসকের পরিবার যাতে ন্যায় বিচার পায় তার দিকে তাঁর দল নজর রাখবে ও প্রয়োজনীয় সাহায্য করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি ইরও বলেছেন, এই ঘটনা খুবই খাবার। এই সময় হিন্দুরা হোলির মত পবিত্র উৎসব পালন করে। উৎসবের মধ্যে এই ঘটনা না ঘটনাই শ্রেয় বলেও মনে করেছেন তিনি।
তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেই পাকিস্তানে একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। একাধিক মহিলাকে শুধুমাত্র হিন্দু হওয়ার অপরাধে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। বাধ্য করা হয়েছে ধর্ম পরিবর্তন করতে। যারা রাজি হয়নি তাদের অনেকক্ষেত্রে হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। যদিও পাকিস্তান সরকার এই সব বিষয়ে এখনও গুরুত্ব দিতে নারাজ।