পাকিস্তানি সেনা ও তালিবানের মধ্যে প্রচণ্ড গোলাগুলি, ১০ জনেরও বেশি মৃত, আহত প্রায় ৪০

আফগান সীমান্ত শহর স্পিন বোলদাকে মর্টার হামলায় কমপক্ষে চারজন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়। জবাবে আফগান তালিবান যোদ্ধারা পাক-আফগান চমন সীমান্তের কাছে হামলা চালায়।

Web Desk - ANB | Published : Dec 12, 2022 4:12 AM IST

পাকিস্তানের চমন সীমান্তে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও আফগান তালিবান যোদ্ধাদের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় চলছে। এই বর্ডার পোস্ট পাকিস্তানের পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশকে আফগানিস্তানের দক্ষিণ কান্দাহার প্রদেশের সঙ্গে সংযুক্ত করে। দুই দেশের মধ্যে তীব্র গুলির লড়াইয়ে ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। দুই দেশের সেনা হামলা এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। প্রায় ৩৭ জন আহত হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ চলে।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এবং আফগান তালিবান যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় যখন আফগান সীমান্ত শহর স্পিন বোলদাকে মর্টার হামলায় কমপক্ষে চারজন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়। জবাবে আফগান তালিবান যোদ্ধারা পাক-আফগান চমন সীমান্তের কাছে হামলা চালায়। তালেবান যোদ্ধাদের ভারী গোলাবর্ষণে ছয় পাকিস্তানি সাধারণ নাগরিক নিহত এবং ১৭জন আহত হয়েছে। হামলায় আহতদের চমন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী তালেবান যোদ্ধাদের ফাঁড়ি তৈরি করতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, সে কারণেই উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। পাক সেনা আরও জানায়, তালেবান যোদ্ধারা পাকিস্তান সীমান্তে ভারী অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

কোন ঘটনা থেকে সংঘাতের সূত্রপাত

পাকিস্তান ও আফগানিস্তান একটি সীমান্ত দিয়ে আলাদা। একে বলা হয় ডুরান্ড লাইন। পাকিস্তান এটিকে সীমারেখা বলে মনে করে, তবে তালেবান স্পষ্টভাবে বলে যে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া রাজ্য তাদের অংশ। পাকিস্তান কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে গোটা এলাকা ঘিরলেও, এই বেড়া মানতে নারাজ আফগানিস্তানের তালিবান সরকার।

স্থানীয় বাসিন্দাদের পোস্ট করা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের পর গোটা এলাকা সাদা ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। আহতদের নিয়ে ছোটাছুটি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ডুরান্ড লাইনের কাছে অবস্থিত চমন ক্রসিংয়ের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহতদের। পাকিস্তানের চামানের একটি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক আখতার মোহাম্মদ জানান, ২৭ জনকে আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে ৬ জন মারা যান। আরও সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

টোলো নিউজ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই তালিবান সেনা ও পাকিস্তান সেনার মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। স্পিন বলডকের বিতর্কিত ডুরান্ড লাইনে কার অধিকার, তা নিয়েই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে। কান্দাহার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার দুপুরেও একদফা সংঘর্ষ হয়।

এদিকে, শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে যুদ্ধের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এর ভাবনা চিন্তা করে বিতর্কিত ডুরান্ড লাইনে আরও যোদ্ধা পাঠিয়েছে তালেবান। টুইটারে ভিডিওটি শেয়ার করে একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন যে পাকিস্তান তালিবানদের বিরুদ্ধে বেসামরিকদের উপর হামলার অভিযোগ এনেছে, যাতে ছয়জন বেসামরিক লোক নিহত হয়।

Share this article
click me!