২০১৫ সালে, হানজালা আদনান উধমপুরে একটি বিএসএফ (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স) কনভয়ের উপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল। এই হামলায় দুই বিএসএফ জওয়ান নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়।
পাকিস্তানের করাচিতে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীদের হাতে নিহত হল লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) জঙ্গি হানজালা আদনান। হানজালা ২০১৫ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে বিএসএফের একটি কনভয়ে হামলার ষড়যন্ত্র করেছিল।
তাকে ২৬/১১ মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী লস্কর প্রধান হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়। আদনানকে ২ ও ৩ ডিসেম্বর রাতে তার বাড়ির বাইরে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীরা গুলি করে খুন করে। আদনানের শরীরে চারটি গুলি ছিল।
পাকিস্তানি সেনারা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়
সূত্রের খবর, লস্কর-ই-তৈয়বা জঙ্গিকে গোপনে পাকিস্তানি সেনা করাচির একটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ ডিসেম্বর তার মৃত্যু হয়। সম্প্রতি হানজালা আদনান তার অপারেশন বেস রাওয়ালপিন্ডি থেকে করাচিতে স্থানান্তরিত করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে, হানজালা আদনান উধমপুরে একটি বিএসএফ (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স) কনভয়ের উপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল। এই হামলায় দুই বিএসএফ জওয়ান নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়।
ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) বিএসএফের কনভয়ে হামলার তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে। শীর্ষ এলইটি জঙ্গি আদনান ২০১৬ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের পাম্পোর এলাকায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) কনভয়ে জঙ্গি হামলার মাস্টার মাইন্ড ছিল। এই হামলায় ৮ জন সিআরপিএফ জওয়ান প্রাণ হারান এবং ২২ জন আহত হন।
শহিদ হন দুই সেনা
উধপুরে বিএসএফ কনভয়ে লস্কর জঙ্গি হামলায় দুই সেনা জওয়ান শহিদ হন। এ সময় ১৩ বিএসএফ জওয়ান আহত হন। এছাড়াও, পরের বছর ২০১৬ সালে, হানজালা পাম্পোরে সিআরপিএফ কনভয় আক্রমণ করেছিল, যাতে ৮ জন সেনা শহিদ হয়েছিলেন। এই ভয়ঙ্কর জঙ্গি পুলওয়ামা হামলায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে অনেক জঙ্গি অজ্ঞাত হামলাকারীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। এর আগে মুফতি কায়সার ফারুক, খালিস্তানি জঙ্গি পরমজিৎ সিং পাঞ্জওয়াদ, এজাজ আহমেদ আহাঙ্গার, বশির আহমেদ পিয়ারের মতো জঙ্গিরা খতম হয়েছে। মাত্র এক দিন আগে, ২৬/১১ মুম্বাই হামলার পরিকল্পনায় জড়িত লস্কর-ই-তৈয়বার জঙ্গি সাজিদ মীরকে পাকিস্তানের জেলে বিষ খাওয়ানো হয়েছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাজিদ মীরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।