লস্কর-ই-তৈবার 'জিহাদি গুরু' আবদুল্লা শাহীন খতম, পাকিস্তানে 'অজ্ঞাত ব্যক্তিদের' হাতে হিট অ্যান্ড রান

আবদুল্লাহ শাহীন, তার গ্রুপের জঙ্গিদের মধ্যে 'জিহাদি গুরু' হিসাবে ব্যাপকভাবে পরিচিত। সেইসঙ্গে লস্কর-ই-তৈবার মধ্যে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিল, একাধিক নাশকতামূলক কাজের মাস্টারমাইন্ড সে।

Parna Sengupta | Published : Dec 25, 2023 6:13 AM IST

কুখ্যাত লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) জঙ্গি এবং নিয়োগকারী আবদুল্লা শাহীন পাকিস্তানের কাসুরে রহস্যজনক হিট অ্যান্ড রানের ঘটনায় খতম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটে যখন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের একটি গাড়ি শাহীনকে চাপা দেয়, ফলে তার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। টার্গেটেড হত্যাকাণ্ডের যে সিরিজ শুরু হয়েছে, তাতে এই ঘটনা অন্যতম বলে মনে করা হচ্ছে। এই সিরিজে গত কয়েক মাসে ২০ জনেরও বেশি হাই-প্রোফাইল জঙ্গি পাকিস্তানে একই পরিণতির মুখে পড়েছে।

আবদুল্লাহ শাহীন, তার গ্রুপের জঙ্গিদের মধ্যে 'জিহাদি গুরু' হিসাবে ব্যাপকভাবে পরিচিত। সেইসঙ্গে লস্কর-ই-তৈবার মধ্যে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিল, একাধিক নাশকতামূলক কাজের মাস্টারমাইন্ড সে। নিয়োগকারী হিসাবে শাহীনের ভূমিকা তাকে গ্রুপের মধ্যে একজন মূল অপারেটর করে তোলে। জঙ্গি হিসেবে যুবকদের নিয়োগ করা থেকে শুরু করে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ সে করত।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের কাসুর শহরে তাকে গাড়ি চাপা দিয়ে মারা হয়। পিছন থেকে শাহিনকে গাড়ি এসে ধাক্কা মারে। তবে ওই গাড়িতে যাত্রী হিসেবে কারা ছিলেন, গাড়ির চালক কে ছিলেন, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত জঙ্গি সংগঠন, লস্কর-ই-তৈবা এই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি হামলার জন্য দায়ী, এবং নিয়োগকারী হিসেবে শাহীনের ভূমিকা তাকে এই গোষ্ঠীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ করে তুলেছিল। 'জিহাদি গুরু' ডাকনামে বেশি পরিচিত ছিল শাহীন। তার মৃত্যু এই অঞ্চলে এলইটি-এর কার্যকলাপে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।

 

 

এই মাসের শুরুতে, হাবিবুল্লাহ, আরেক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি এবং নিয়োগকারী, খাইবার পাখতুনখোয়ার ট্যাঙ্ক জেলায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হয় বলে জানা গেছে। লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা এবং ২৬/১১ মুম্বাই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সাইদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আদনান আহমেদকে হত্যার কয়েকদিন পর এই 'টার্গেটেড কিলিং'-এৎ ঘটনা সামনে আসে। হাবিবুল্লাহ এই বছরের শুরুতে করাচিতে গুলিবিদ্ধ হয়।

শাহীনের হত্যার খবর সামনে এল ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড পলাতক দাউদ ইব্রাহিমকে বিষ দিয়ে হত্যার চেষ্টার পর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কয়েকদিন পরে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!