বালুচিস্তানের মাস্তুং জেলার একটি মসজিদের বাইরে বড় একটি বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে প্রচুর মানুষ নবি মহম্মদের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জড়ো হয়েছিল।
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে বিধ্বস্ত পাকিস্তান। তারওপর একের পর এক আত্মঘাতী হামলার ঘটনায় ক্রমশই প্রকট হচ্ছে পাকিস্তানের হতশ্রী চেহারাটা। শুক্রবার এমনিতে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র দিন। সেই দিনেই একটি বালুচিস্তানে ধর্মীয় সমাবেশে হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৫০ জনের বেশি মানুষ।
বালুচিস্তানের মাস্তুং জেলার একটি মসজিদের বাইরে বড় একটি বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে প্রচুর মানুষ নবি মহম্মদের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জড়ো হয়েছিল। মাস্তুং এর সহকারী পুবিশ কমিশনার উল মুনিম বিস্ফোরণকে বিশাল ও ভয়ঙ্কর বলে চিহ্নিত করেছেন। তিনি আরও বলেছেন মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। মৃতদের মধ্যে একজন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশও রয়েছেন। পুলিশ কর্তার মৃত্যু নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের মত মাস্তুং-এর ডিএসপি নওয়াজ গাশকোরির মৃত্যু হয়েছে। তিনি এই এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। কর্তব্যরত অবস্থাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
বালুচিস্তানের এক সিনিয়র পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, বোমা হামলাকারী ডেপিটি সুপারিনটেনডেন্টের গাড়ির কাছেই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। জঙ্গিদের টার্গেট পুলিশ ছিল কিনা তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত বিস্ফোরণের দায় কেউই স্বীকার করেনি। ঘটনার পরই এলাকায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে এবার আহতদের অদূরের শহিদ নবাব ঘৌস বখশ রাইসানি মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের তীব্রতায় কিছু যানবাহন ও অনেকগুলি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বালুচ ন্যাশানালিস্ট আর্মি , মালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি মতে স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে হামলার যোগ থাকতে পারে। তবে পুলিশের নজর রয়েছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের বিদ্রোহীদের দিকেও। এই এলাকায় জঙ্গিরা রীতিমত সক্রিয়। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করছে বলেও অভিযোগ পুলিশের।
সেপ্টেম্বর মাসে মাস্তুং জেলায় এর আগেও একটি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এটি দ্বিতীয় ঘটনা। মাসের শুরুতে একটি বিস্ফোরণে জমিয়ত উলেমা -ই -ইসলাম ফজল নেতা হাফিজ হামদুল্লাহ সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।