৭৩ বছরের নওয়াজ শরিফ একটি কালো গাড়িতে চালকের আসনের পাশেই বসে ছিলেন। মাহিলা হাত নেড়ে জানলার কাচ খুলতে বলেন।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের গাড়ির চাকলক যা করলেন তা নিয়ে তোলপাড় বিশ্ব। নওয়াজ শরিফের উপস্থিতিতেই এক মহিলা সাংবাদিকের মুখে থুতু ছিটিয়ে দিলেন। সেই ভিডিও রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মহিলা সাংবাদিক নিজের মোবাইল ফোনে গোটা ঘটনা রেকর্ড করেন। দ্রুত সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
৭৩ বছরের নওয়াজ শরিফ একটি কালো গাড়িতে চালকের আসনের পাশেই বসে ছিলেন। মাহিলা হাত নেড়ে জানলার কাচ খুলতে বলেন। চালক তা খুলে দেওয়ার পরই মহিলা সাংবাদিক নওয়াজ শরিফতে জিজ্ঞাসা করেন 'আমি শুনেছি আপনি অত্যান্ত দুর্নীতিবাজ পাকিস্তানে রাজনীতিবিদ।' ব্যাস এটুকু শুনেই মেজাজ হারায় শরিফের গাড়ির চালক। মহিলার মুখে থুতু ছিটিয়ে দিয়ে জানলার কাচ বন্ধ কর গাড়ি নিয়ে রওনা দেয় চালক। এই ঘটনার কোনও প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে।
পাকিস্তানের তেহরিক- ই - ইনসফ পার্টির ডক্টর ফতিমা এই ভিডিওটি সোশ্যালমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে শেয়ার করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, মহিলা একজন ব্রিটিশ সাংবাদিক। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা ঘটনার নিন্দা করেন। বলেন, 'নওয়াজ শরিফের ড্রাইভার প্রশ্ন করা সংবাদিকের মুখে থুতু ছিটিয়ে দেয়। উদারপন্থী, বুদ্ধিজীবী
বা নারীবাদি কেউ এদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবে না। এই নির্বাচন নৈতিকতায় অসুস্থ! জঘন্য!'
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরাও এই ঘটনার অত্যান্ত ক্ষুব্ধ। নওয়াজ শরিফের অত্যান্ত সমালোচনা করেছেন তাঁরা। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, তিনি প্রমাণ করেছে যে তিনি শুধু দুর্নীতিগ্রস্ত নন। একজন শয়তানও। অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, মহিলা সাংবাদিকের প্রশ্নের পরই নওয়াজ শরিফ ইশারা করে মহিলার সঙ্গে অশানীল ব্যবহার করার ইঙ্গিত করেছেন। গোটা ঘটনার তাঁর প্রচ্ছন্ন মদত ছিল। এটা পাকিস্তানের অপনাম বলেও অনেকে মন্তব্য করেন।
পাকিস্তানে দুটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে নওয়াজ শরিফ। লাহোর হাইকোর্ট তাঁকে চিকিৎসার জন্য চার সপ্তাহের বিদেশ সফরের অনুমতি দেওযার পরই তিনি দেশ ছাড়েন। কিন্তু ২০১৯ সালে দেশ ছাড়ার পর থেকে আর পাকিস্তানের দিকে যাননি। সেই থেকেই বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তবে আগামী ২১ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তাঁর ছোট ভাই তথা পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাদ শরিফতেমনই দাবি করেছেন।