অপারেশন সিঁদুরের সময় প্রাণ বাঁচাতে বাঙ্কারে থাকতে চাইছিলেন, স্বীকার পাক প্রেসিডেন্টের

Published : Dec 28, 2025, 04:11 PM ISTUpdated : Dec 28, 2025, 04:25 PM IST
Pakistan President, Prime Minister

সংক্ষিপ্ত

Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ভারতীয় সেনার (Indian Army) প্রত্যাঘাতের ভয়ে সন্ত্রাসবাদীদের (Terrorist) পাশাপাশি পাকিস্তানের (Pakistan) রাজনীতিবিদরাও কাঁটা হয়েছিলেন। এবার সে কথা স্বীকার করলেন খোদ পাক প্রেসিডেন্ট (Pakistan President)।

DID YOU KNOW ?
ভারতের অপারেশন সিঁদুর
পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলার পর ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে পাকিস্তানে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করার জন্য অপারেশন সিঁদুর চালানো হয়।

Pakistan President Asif Ali Zardari: পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির (Asim Munir) অপারেশন সিঁদুর নিয়ে যতই বড়াই করুন না কেন, সেই দাবি যে নেহাতই অসাড়, তা স্বীকার করলেন খোদ পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। তিনি জানিয়েছেন, 'আমার মিলিটারি সেক্রেটারি এসে বলেন, স্যার, যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। চলুন, বাঙ্কারে যাই।' তবে তিনি সেই প্রস্তাবে রাজি হননি বলেও জানিয়েছেন পাক প্রেসিডেন্ট। শনিবার এক অনুষ্ঠানে এই কথা জানিয়েছেন জারদারি। সম্প্রতি পাক সেনাপ্রধান স্বীকার করেছেন, অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সেনার কাছে পর্যুদস্ত হয়েছেন তাঁরা। ৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে (Pakistan-occupied Jammu and Kashmir) ৯ জায়গায় সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে আঘাত হানে ভারতীয় সেনা। এই আঘাত যে ইসলামাবাদকে (Islamabad) নাড়িয়ে দিয়েছে, তা পাক প্রেসিডেন্টের কথাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পাল্টা অপারেশন সিঁদুর

২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Terror Attack) জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়। এই হামলার পাল্টা জঙ্গি ঘাঁটিকে নিশানা করে ভারতীয় সেনা। পাক প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তাঁর মিলিটারি সেক্রেটারি সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় সেনা অবশ্য পাকিস্তানে কোনও সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায়নি। শুধু জঙ্গি ঘাঁটিই ধ্বংস করা হয়। তাতেই ভয়ে কেঁপে উঠেছে পাক সরকার। সে কথা স্বীকারও করল তারা।

আক্রমণ থামানোর আর্জি জানায় পাকিস্তান

অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনসের (Director General of Military Operations) পক্ষ থেকে আক্রমণ থামানোর জন্য ভারতের কাছে আর্জি জানানো হয়। ভারত সেই প্রস্তাব মেনে নেয়। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি (Foreign Secretary Vikram Misri) পরে সে কথা জানান। তিনি বলেন, দুই দেশ জমি, সমুদ্র ও আকাশপথে সামরিক কার্যকলাপ থামাতে রাজি হয়।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
২৬
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়।
২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়।
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

হাসির খোরাক আসিম মুনির, পাকিস্তান ছাড়লেন ৫,০০০ চিকিৎসক, ১১,০০০ ইঞ্জিনিয়ার
পাকিস্তানের অর্থনীতিতে প্রশাসনিক দুর্বলতা, জরুরি সংস্কার প্রয়োজন, সতর্ক করল ICMA