
India-Pakistan Conflict: 'অপারেশন সিঁদুর'-এ (Operation Sindoor) শুধু জঙ্গিরাই খতম হয়নি, তাদের সাহায্য করতে আসা তুরস্কের সেনাবাহিনীর দুই সদস্যও প্রাণ হারিয়েছে। পাকিস্তানে যে সেনাবাহিনী ও সন্ত্রাসবাদীরা একসঙ্গে কাজ করে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। কিন্তু তুরস্কের সেনাবাহিনী (Turkish military) সব জেনেও কেন সরাসরি জঙ্গিদের সাহায্য করল? এ বিষয়ে মুখ খুলছে না পাকিস্তান সেনা ও সরকার। তুরস্ক সরকারও মুখে কুলুপ এঁটেছে। কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য পাকিস্তানকে ৩৫০-এরও বেশি ড্রোন সরবরাহ করে তুরস্ক। শুধু তাই নয়, এই ড্রোন কীভাবে ব্যবহার করা হবে, সে বিষয়েও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে (Pakistani Army) সাহায্য করেছে তুরস্কের সেনাবাহিনীর পরামর্শদাতারা। চারদিন ধরে ভারত-পাকিস্তানের যে সংঘর্ষ চলেছে, তাতে তুরস্কের বড় ভূমিকা ছিল।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ৭ মে রাতে উত্তর ও পশ্চিম ভারতে সেনা পরিকাঠামোয় আঘাত হানার লক্ষ্যে ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। এখন সেই ড্রোনগুলি পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই হামলায় তুরস্কের হাত স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিক বৈঠকে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি (Colonel Sofiya Qureshi) জানিয়েছেন, ‘যে ড্রোনগুলির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে, সেগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, এগুলি তুরস্কের অ্যাসিসগার্ড সোনগার ড্রোন (Turkish Asisguard Songar drones)। ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনী এই ধরনের অনেক ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে। আমাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পরীক্ষা করা এবং গোপন তথ্য সংগ্রহ করার লক্ষ্যেই এত বড় আকারে আকাশপথে হামলা চালায় পাকিস্তান।’
গত কয়েক বছরে তুরস্কের সঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক বোঝাপড়া বেড়ে গিয়েছে। তুরস্ক সরকার শুধু পাকিস্তানকে অস্ত্রশস্ত্র দিয়েই সাহায্য করছে না, পাক সেনার জন্য প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করেছে। ভারতের বিরুদ্ধে তুরস্কের ড্রোন ব্যবহার সেই বোঝাপড়ারই অঙ্গ। তুরস্ক-পাকিস্তানের এই সামরিক বোঝাপড়া ভারতের জন্য উদ্বেগজনক।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।