চোখের সামনেই কেটে ফেলা হয়েছে দুই ভাইবোনকে। দু'জনকেই মেরে ছুরি দিয়ে কেটে মাংস খেয়েছে অপহরণকারী যুবক। সেই দৃশ্য চোখের সামনে দেখতে থাকায় প্রবল মানসিক যন্ত্রণায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে ৭ বছর বয়সি আলি।
মানুষের মাংস খাওয়ার নেশায় উন্মাদ হয়ে উঠেছিল যুবক, একের পর এক শিশুকে কেটে তাদের মাংস খেত গা-ঢাকা দিয়েই। ঘটনা প্রকাশ্যে এল একই পরিবারের তিনজন শিশু নিখোঁজ হওয়ার পর। চাঞ্চল্য ছড়াল পাকিস্তানের (Pakistan) অন্তর্গত পঞ্জাব প্রদেশের মুজাফফরগড়ে। শিশুদের প্রতি নৃশংসতার মাত্রা ছাড়াল এক যুবক। শরীর কেটে মাংস খাওয়ার মত নরপিশাচী আচরণে হাড় হিম হয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। নিরীহ শিশুদের খুন করার পরে দেহ টুকরো টুকরো করে তাদের মাংস খাওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পাকিস্তান পুলিশ (Pakistan Police)।
-
পাকিস্তানের পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, মুজাফফরগড়ের (Muzaffargarh) খান গড় এলাকা থেকে পাঁচ দিন আগে নিখোঁজ হয়ে যায় তিন শিশু, তিনজনেই পারিবারিক সম্পর্কে ভাই-বোন। তাদের খুঁজে না পেয়ে থানায় অপহরণের মামলা দায়ের করে পরিবার। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিন শিশুর মধ্যে দু'জনকে খুন করে তাদের দেহ টুকরো টুকরো করে কেটেছে অভিযুক্ত ব্যক্তি। সেই মাংস রান্না করে নিজে খেয়েছে সে। শুধু তাইই নয়, রান্না করা মাংস স্থানীয় একটি দরগাতে বিতরণও করে এসেছে বলে জানা গেছে।
-
অপহৃত হওয়া তিন শিশুর মধ্যে একজনকে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া শিশুর নাম আলি হাসান , তার বয়স মাত্র ৭ বছর। তার সামনেই কেটে ফেলা হয়েছে তার দুই ভাইবোনকে। ৩ বছর বয়সি ভাইয়ের নাম আবদুল্লাহ এবং মাত্র দেড় বছর বয়সি বোনের নাম হাফসা। দুজনকেই মেরে ছুরি দিয়ে কেটে মাংস খেয়েছে অপহরণকারী যুবক। সেই দৃশ্য চোখের সামনে দেখতে থাকায় প্রবল মানসিক যন্ত্রণায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে ৭ বছর বয়সি আলি। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন যে, তার মানসিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ।
-
গ্রেফতারির পর পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত যুবক ৩ বছর ও দেড় বছর বয়সি দুই শিশুকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে। সেই সঙ্গে দুই শিশুর মাংস রান্না করে নিজে খাওয়া এবং দরগায় বিতরণ করার কথাও মেনে নিয়েছে। শিশুদের কাটার ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপহরণ, হত্যা, সন্ত্রাস ও অন্যান্য অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যুবকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে, ধরা পড়ার পরেই স্থানীয় মানুষজনের হাতে প্রচণ্ড মার খেয়ে জ্ঞান হারিয়েছে অভিযুক্ত। বর্তমানে, স্থানীয় একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
-
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।