Pakistan Barbers Killed: মুসলিম-প্রধান দেশে দাড়ি কেটে দেওয়া হচ্ছে কেন? একের পর এক নাপিতকে গুলি করে খুন!

পাকিস্তানের তালিবান গোষ্ঠী এর আগেই দেশের মানুষের দাড়ি কাটা নিয়ে সতর্ক করেছিল। এবার সরাসরি নৃশংসভাবে খুন করা হল ৬ জন নাপিতকে। 

Sahely Sen | Published : Jan 5, 2024 8:07 AM IST

ইসলামপন্থী দেশে সাধারণ মানুষের দাড়ি কেটে আধুনিক ধাঁচে চুল রাখা হচ্ছ কেন! এই প্রশ্ন তুলে আগেই হুমকি বার্তা দিয়েছিল পাকিস্তানের তালিবান গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (TTP) । এবার কোনও সাবধানবাণী না দিয়ে সরাসরি অপহরণ করে তুলে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হল ৬ জন নাপিতকে। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি, মঙ্গলবার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মীর আলী শহরে । 


পাকিস্তানি পুলিশের তরফ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে যে, মৃতরা স্থানীয় বাজারে কয়েকটি সেলুনে কাজ করতেন। একদিন আগে ৬ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার সেলুনের আশেপাশের এলাকা থেকে তাঁদের রক্তাক্ত মৃতদেহ পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে । ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

প্রসঙ্গত, পাকিস্থানে বহু ইসলামি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন সক্রিয় রয়েছে । তাদের লক্ষ্য হল, পাকিস্তানে কট্টর ইসলামপন্থী শরিয়া শাসন ব্যবস্থা (Sharia Law) লাগু করা এবং ‘গজবা-এ-হিন্দ’ করা । ইসলামি শরিয়া আইন অনুযায়ী, পুরুষদের চুল ও দাড়ি ছাঁটা পাপ । যেসমস্ত নাপিত মুসলমান পুরুষদের চুল কাটছেন, শরিয়া অনুযায়ী তাঁরাও 'পাপী'। এই পাপের সাজাস্বরূপ মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান রয়েছে শরিয়া আইনে। 
 

২০১৪ সালে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর সেনারা সন্ত্রাসবাদীদের দেশ থেকে তাড়ানোর আগে পর্যন্ত মীর আলি তালিবানি সংগঠন তেহরিক -ই -তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর ঘাঁটি হিসেবে কাজ করেছিল। গত বছর, এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দাড়ি কাটা এবং পশ্চিম এলাকায় আধুনিকভাবে চুল কাটার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল । নাপিতদের এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে টিটিপি সংগঠন জড়িত আছে কিনা তা স্পষ্ট নয়, তবে, এই সংগঠনের তরফ থেকে হত্যার দায় অস্বীকার করা হয়েছে । 

এদিকে একসঙ্গে ৬ নাপিতকে নির্মমভাবে হত্যা করার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পাকিস্তানের নাপিতরা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। উত্তর ওয়াজিরিস্তানের আরেক শহর মিরানশাহের একজন নাপিত প্রবল আতঙ্কের কারণে নিজের পরিচয় গোপন করে আতঙ্কের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এই ঘটনার পর আমি খুব ভয়ে আছি। আমি জানি না আমি আর কাজে যেতে পারব কিনা।”

 


 

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!