পাকিস্তানের নির্বাচন প্যানেল ইমরান খানকে মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৫ জুলাই গ্রেফতার করে সকাল ১০টার মধ্যে হাজির করাতে নির্দেশ দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন গত বছরই ইমরান অবমাননার মামলা শুরু করেছিল।
আবারও বিপাকে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন সোমবার পাকিস্তান তেহলির -ই - ইনসাফ পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিরুদ্ধে একটি জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করেছে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতারের নির্দেশও দিয়েছে। পাকিস্তানের ডন পত্রিকা জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন ইসলামাবাদের পুলিশকে মঙ্গলবার ইমরান খানকে গ্রেফতার করে কমিশনের সামনে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে।
ইমরান খান, প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী, অন্যান্যদের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ সংস্থার বিরুদ্ধে অশালীন, অসংযত ভাষা ব্যবহারের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ওয়ার্টেন অনুসারে এই মামলায় একাধিকবার নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন প্যানেলের সামনে হাজিরা দেননি ইমরান খান। এর আগে একই মানলায় ইমরানের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। ১৬ জুলাই থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত ছিল পরোয়ানার মেয়াদ। কিন্তু তাতেও গুরুত্ব দেননি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তাই এবার জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
পাকিস্তানের নির্বাচন প্যানেল ইমরান খানকে মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৫ জুলাই গ্রেফতার করে সকাল ১০টার মধ্যে হাজির করাতে নির্দেশ দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন গত বছরই ইমরান ও তার দলের দুই নেতার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশান অবমাননার মামলা শুরু করেছিল।
গত বছর এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন ইমরান খান। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই ইমরান খানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের একাধিক আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে বা তাদের পরামর্শের মাধ্যমে তাদের উপস্থিতির অনুরোধ করেছিল। কমিশনের প্যানেলের অনুরোধ মেনে না নিয়ে, তিনজন ব্যক্তি ইসিপি নোটিশ এবং বিভিন্ন হাইকোর্টে আদালত অবমাননার বিচারকে আইনি কারণে চ্যালেঞ্জ করেছেন। জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী প্যানেলকে ইমরান খান , চৌধুরা ও পিটিআই নেতা আসাদ উমরের বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। পরবর্তীকালে কমিশন ইমরান , ফাওয়াদ ও উমরকে আনুষ্ঠানিকভাবে চার্জ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১১ জুলাই শুনানির সময় তলব করা সত্ত্বেও তিন জনের কেউই উপস্থিত হননি। ফলে কমিশন তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
অন্যদিকে আগেই প্রাক্তন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এবার সন্ত্রাসের মামলা নথিভুক্ত করেছে পাকিস্তানের পুলিশ। শুধু ইমরান খান নয়, তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইসফাস অর্থাৎ পিটিআই-এর প্রয় ডজনখানেকে নেতার বিরুদ্ধেও সন্ত্রাসবাদের মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। শনিবার ইসলামাবাদ আদালত কমপ্লেক্সের বাইরে অশান্তি সৃষ্টি, ভাঙচুরের ঘটনার জন্যই তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের মামলা দায়ের করা হয়েছে।