সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসবাদের কুৎসিত চেহারার দর্শন মিলছে পাকিস্তানে, যা নজর কাড়ছে সারা বিশ্বের

সময় এসেছে মধ্যপন্থী সুফি সুন্নি, বেরেলভিস ও শিয়ারা ঐক্যবন্ধ হয়ে উগ্রপন্থী সংগঠন ও তাদের প্রচারণাকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ন্যায়বিচারের আহ্বান জানানো।

Sayanita Chakraborty | Published : Oct 2, 2023 3:15 AM IST

কট্টরপন্থা ও চরমপন্থার মূল কারণ হল নির্দিষ্ট কিছু সম্প্রদায়ের দ্বারা ধর্মের রাজনীতিকরণ। ধ্বংসাত্মক কট্টরপন্থী মতাদর্শ ও সাহিত্যকে নির্মূল করা অত্যন্ত জরুরী। এবার পাকিস্তানকে এই পথে হাঁটতে হবে এবং অবিলম্বে উগ্র সাহিত্য ও চরমপন্থী শক্তিগুলোকে নিষিদ্ধ করতে হবে যা বহু প্রাণ নিচ্ছে।

সময় এসেছে মধ্যপন্থী সুফি সুন্নি, বেরেলভিস ও শিয়ারা ঐক্যবন্ধ হয়ে উগ্রপন্থী সংগঠন ও তাদের প্রচারণাকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ন্যায়বিচারের আহ্বান জানানো। মুসলিম ব্রাদারহুডের চরমপন্থী মতাদর্শের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মিশর দ্বারা পূর্ব গৃহীত পথে হাঁটতে হবে পাকিস্তানকে।

ভারতে সৌভাগ্যবসত ধর্মীয় সমাবেশ এবং মিছিলকে লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায় না। ইসলামের রাজনীতিকরণ ও চরমপন্থাকে ট্রিগার করে যা তরুণদের তীব্রভাবে উগ্রপন্থী করে তুলছে ওহাবি সালাফি, জামায়াত-ই-ইসলামী এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা ও ধর্মগুরুদের দ্বারা উৎপাদিত জঙ্গি সাহিত্য।

তিনটি চরম পন্থী আন্দোলন, সৌদি আরবে মুহাম্মদ ইবনে আবদ আল ওয়াহাব নজদীর ওয়াহাবিজম, হাসান আল বান্না এবং মিশরের সাইয়্যেদ কুতুবের দ্বারা মুসলিম ব্রাদারহুড, এবং ভারতীয় উপমহাদেশের মাওলানা আবুল আল মওদুদীর জামায়াত ই ইসলামী। রাজনীতি ও সামাজিক মতাদর্শের প্রেক্ষাপটে চরমপন্থী চিন্তাধারার বিকাশের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী আন্দোলন জাগর করেছে।

ওয়াহাবিজম, মুসলিম ব্রাদারহুড ও জামাত ই ইসলামীর উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে ১৮ থেকে ২০ শতকে ইসলামের তিনটি আন্দোলনে আমূল ভুল ব্যাখ্যার কারণে সারা বিশ্ব চিন্তায়। তিনটি দলই তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য বিভাজন ও ধ্বংসের ঘটনা ঘটে চলেছে।

ওয়াহাবিজমের আকারে চরমপন্থার উত্থান ১৮ শতকের মাঝামাঝি সময় মুহাম্মদ ইবনে আব্দ আল ওয়াহহাব -র শিক্ষার মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়। একজন পন্ডিত যিনি বর্তমানে সৌদি আরবের রিয়াদ নামে পরিচিত নজদে বসবাস করতেন। তাঁর বই কিতাব আল-তাওহীদ মুসলমানদেরকে শক্তিশালীভাবে প্রভাবিত করেছিল। ওয়াহাবিবাদ ইসলামের শুদ্ধিকরণের পক্ষে, সুন্নিদের চারটে ইসলামী আইনশাস্ত্রের ধর্মতত্ত্ব ও শিয়াদের জাফরিয়া আইনশাস্ত্র, ঐতিহ্যগত আচার অনুষ্ঠান ও মুসলমানদের মধ্যে নবীদের পরিবারের সদস্যদের দর্শনকে প্রত্যাখ্যান করে, যা হাজার বছরেরও বেশ সময় ঘরে সুফি ও ইসলামী পন্ডিতদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। হযরত মুহাম্মদ এবং তাঁর মৃত্যুর পর ইসলামিক খিলাফত রয়ে গিয়েছে হযরত মহাম্মদ -র মৃত্যুর ৩০ বছর পরেও। ফলে এক কথায় বলা চলে, পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসবাদের কুৎসিত চেহারা নজর কাড়ছে সারা বিশ্বের।

 

আরও পড়ুন

পাকিস্তানেই নিহত ভারতের ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী কায়সার ফারুক? ভাইরাল ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য, দেখুন ভিডিও

Breaking News: পার্লামেন্টের সামনেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ! তুরস্কে ভয়াবহ গোলাগুলিতে জখম পুলিশ আধিকারিকরা

Killer Whale: সমুদ্রের ঢেউয়ে লুকিয়ে বিভীষিকা! মাছ ধরার নৌকোয় এসে ধাক্কা মারল বিশাল তিমি

Share this article
click me!