সংক্ষিপ্ত
হঠাতই পাড়ে থাকা মানুষজন দেখতে পান যে, ২ জন ব্যক্তিসমেত জলে যাওয়া নৌকোটি এই মুহূর্তে একেবারে খালি এবং জলের ওপর বীভৎসভাবে ঘুরপাক খাচ্ছে। তাহলে নৌকোয় থাকা ২ জন ব্যক্তি গেলেন কোথায়?
অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী সিডনি থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণ- পূর্বে অবস্থিত লা পেরুসে। সেখানেই সমুদ্রের জলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন ২ জন ব্যক্তি। একজনের বয়স ৬১ বছর এবং অপরজন ৫৩ বছর বয়সি। তাঁদের নৌকো সমুদ্রের পাড় থেকে ভালোরকমই দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু, হঠাতই পাড়ে থাকা মানুষজন দেখতে পান যে, ২ জন ব্যক্তিসমেত জলে যাওয়া নৌকোটি এই মুহূর্তে একেবারে খালি এবং জলের ওপর বীভৎসভাবে ঘুরপাক খাচ্ছে। তাহলে নৌকোয় থাকা ২ জন ব্যক্তি গেলেন কোথায়? সঙ্গে সঙ্গে বেজে ওঠে সতর্কতার অ্যালার্ম।
পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে তড়িঘড়ি জলে নেমে পড়ে উদ্ধারকারী দল। বোঝা যায় যে, মাছ ভরা নৌকোটিতে এসে আচমকা ধাক্কা মেরে দিয়েছে একটি বিরাট আকারের তিমি (Whale Attack) এবং সেই ধাক্কাতেই একেবারে মৃত্যুমুখে পড়েছেন দুই সওয়ারি।
২ জন ব্যক্তিকে কোনওমতে উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসা সম্ভব হলেও ৬১ বছর বয়সি প্রৌঢ়কে বাঁচানো যায়নি। পাড়ে নিয়ে আসার পর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তবে, ৫৩ বছর বয়সি পর্যটককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে, বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক।
অস্ট্রেলিয়ার প্রশাসনের মতে, সমুদ্রের এই অংশটিতে তিমির আক্রমণ হওয়া একেবারে বিরল ঘটনা। সেই দেশের এক প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, এই ‘একটি সম্পূর্ণ বিস্ময়কর দুর্ঘটনা’। তিমিটি নৌকোর একেবারে কাছাকাছি এসে পালটি খাওয়ায় নৌকোটি ভেঙে দুমড়ে একেবারে ছত্রখান হয়ে গেছে। যার জেরেই দুই নাবিক গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তবে, অস্ট্রেলিয়ার উপকূলরেখায় মোট ১০টি বড় এবং ২০টি ছোট প্রজাতির তিমির আনাগোনা দেখা যায়। শনিবারের সংঘর্ষে কোন প্রজাতির তিমি আক্রমণ করেছিল, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।