একমাসেরও বেশি সময় ধরে লকডাউন দেশে। একেবারে খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে দেশের অর্থনীতি। এই অবস্থায় গত মঙ্গলবারই ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদীক এই প্যাকেজ নিয়ে এখন জোর চর্চা চলছে দেশের অন্দরে। আর ভারত সরকারের এই আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা চোখ এড়ায়নি পলাতক লিকার ব্যারেন বিজয় মালিয়ারও। দেশের জন্য এই আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণায় তিনি নাকি খুশি হয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লন্ডন থেকে ট্যুইট বার্তা পাঠিয়েছেন প্রাক্তন কিংফিশার কর্তা।
৩০ জুন পর্যন্ত সমস্ত ট্রেন বাতিল করল ভারতীয় রেল, ছাড় কেবল শ্রমিক ও স্পেশালকে
লকডাউনে ট্যাক্সি সফর, দিল্লি বিমানবন্দর থেকে নয়ডা-গাজিয়াবাদে যেতে গুণতে হচ্ছে কমপক্ষে ১০ হাজার
মানব সভ্যতার অঙ্গাঙ্গী অংশ হতে চলেছে করোনা, এই ভাইরাস যাওয়ার নয়, সতর্ক করে দিল 'হু'
তবে সরকারের প্রশংসা করেই কেবল ক্ষান্ত হননি পলাতক লিকার ব্যারেন। দেশের সংকটজনক আর্থইক পরিস্থিতির ফায়দাতুলে নিজের মুক্তির ফন্দি আঁটতে চাইছেন তিনি। লন্ডন থেকেবিজয় মালিয়া এক ট্যুইট মারফত মোদীজিকে অনুরোধ করেছেন, ‘করোনা সংকটের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত আর্থিক প্যাকেজের জন্য আমি তাঁকে অভিনন্দন জানাই। পাশাপাশি আমিও আমার স্টেট ব্যাঙ্কের সমস্ত টাকা এই কাজের জন্য ত্রাণ তহবিলে দান করতে চাই। সরকারের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ আমার সমস্ত অর্থ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে জারি করা মামলা সমাপ্ত করে দিন’।
ভারত সরকার বিজয় মালিয়াকে আগেই পলাতক ঘোষণা করেছে। তার বিরুদ্ধে ৯০০০ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে ব্রিটেনে আশ্রয়ে নিয়েছে এই লিকার ব্যারন। তবে সেখান থেকেই দেশে না ফেরার সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এবার দেশের লকডাউন পরিস্থিতির ফলে সৃষ্টি হওয়া আর্থিক মন্দার ফায়দা নিতে চাইছেন তিনি। এদিকে লিকার ব্যারনকে দেশে ফেরাতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত সরকারও। এর আগে ব্রিটেনে তাকে গ্রেফতার করা হলেও,পরে জামিনে বাইরে চলে আসেন। ব্রিটিশ সরকার তাকে আত্মসমর্পনের কথাও বলেছে। গত মাসেই ভারতে তাঁর প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে করা আবেদন খারিজ করে দেয় লন্ডন হাইকোর্ট। এরপর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন তিনি। তবে মনে করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হবে বিজয় মালিয়াকে।