গোটা বিশ্বজুড়ে মানুষের অত্যাচারের কারণেই আজ পৃথিবী ধ্বংল হওয়ার পথে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীবের হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। যার প্রভাব পড়ছে অন্যান্য জীবজন্তুর ওপরে। পৃথিবীর মেরুপ্রদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে সেই হিংসাত্মক আঁচ। তাই খাদ্যেক অভাবে নিজের সন্তানের মাংস খাচ্ছে মেরুভল্লুক। ভয়ঙ্কর ও মর্মান্তিক এই ঙটনা সামনে আসতেই বিস্ময়ে অবাক বিশেষজ্ঞরা। সাপা পড়ে গিয়েছে দুনিয়াজুড়ে।
খাবারের অভাবেই মা মেরুভল্লুক খেয়েছে তাঁর নিজের সন্তানকে। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে কতটা কোণঠাসা হলে তবে এই অবস্থায় পৌঁছতে পারে কোনও প্রজাতি, সেই প্রশ্নই তুলেছেন সকলে। প্রাণী বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এভাবে চলতে থাকলে একদিন গোটা প্রজাতিটাই হয়তো শেষ হয়ে যাবে।
এই নৃশংস ঘটনার জন্য মানুষকেই দায়ি করছেন বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেরুভল্লুক এমনিতেই মাংশাসী প্রাণী। সমুদ্রের বরফে ভেসে ভেসে শিকার করে শইলমাছের মাংস খায় তারা। কিন্তু গত কয়েক বছরে হু হু করে মেরুপ্রদেশের বরফ গলে গেছে, যার ফলে আর্কটিক সমুদ্রের বরফের পরিমাণও কমেছে। যার ফলে ক্রমেই তীরের দিকে চলে আসছে মেরুভল্লকরা। এই বরফের অভাবে কমেছে শিলমাছেদের প্রজনন। আর চরম খাদ্যসঙ্কটে পড়তে হচ্ছে মেরুভল্লুকদের।
আরও পড়ুন: রক্ত লাল তুষারে ঢেকেছে আন্টার্কটিকা, কোন অশনি সঙ্কেত দিচ্ছে মেরু দেশ
কিন্তু নিজের সন্তানকে খেয়ে ফেলার ঘটনা কখনওই শোনা যায়নি। কিন্তু খিদের তীব্রতায় এখন বাধ্য হয়ে সেই পথেই হাঁটছে তারা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মেরুভল্লুক মাংসাশী প্রাণী। কিন্তু খিদের জ্বালায় নিজের সন্তানকে খেয়ে নেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। মস্কোর পোলার বিয়ার বিশেষজ্ঞ ইলিয়া মর্ডভিন্টসেভ জানাচ্ছেন, “পোলার বিয়ার অর্থাৎ মেরুভল্লুক একধরনের শিকারি এবং মাংশাসী প্রাণী। কিন্তু খিদের জ্বালায় নিজের সন্তানকে খেয়ে নেওয়ার এই ঘটনা বিস্ময়কর। যদিও এর আগে পুরুষ মেরুভল্লুক খাবারের অভাবে স্ত্রী মেরুভল্লুক অনেকবার আক্রমণ করেছে। এই ঘটনা বেশ কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। এমনকি বাচ্চা মেরুভল্লুকে খাবারের প্রয়োজনে আক্রমণ করছিল বড় মেরুভল্লুক। তবে স্বজাতির মাংস খাওয়ার জন্যই যে তারা আক্রমণ করছিল, সে বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না”।
আরও পড়ুন: জন্মেই চিকিৎসকের উপর রেগে গেল নবজাতক, নেটিজেনদের কাছে শিরোপা পেল বিশ্বের নবম আশ্চর্যের
সাধারণ ভালুকেরা শিকার করে বরফের নীচে মাংস লুকিয়ে রাখে। কিন্তু বর্তমানে মেরুভল্লুকদের মধ্যেও এই ধরণের প্রবণতা দেখা গেছে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে স্বভাবও পাল্টে ফেলেছে তারা, যা গোটা প্রজাতির পক্ষে অশনিসঙ্কেত বলে মনে করছেন প্রাণী-বিশেষজ্ঞরা। এই সবটাই গোটা প্রজাতির পক্ষে অশনিসঙ্কেত বলেই মনে করছেন প্রাণী বিশেষজ্ঞরা।