নিজেদের সেনাবাহিনীর যৌন ইচ্ছা বাড়িয়ে দিয়েই কি ইউক্রেনকে যুদ্ধে হারিয়ে দিতে চাইছে রাশিয়া, জাতিসঙ্ঘের তথ্যে উঠে এল চাঞ্চল্যকর খবর।
ইউক্রেনের ওপর একের পর এক বোমা বর্ষণের পাশাপাশি রাশিয়ার তরফ থেকে চলছে প্রভূত পরিমাণে সেনা প্রেরণ। আর এই পদ্ধতিকেই কাজে লাগিয়ে বিশ্বের অগোচরে আরও এক ধ্বংসাত্মক হাতিয়ার ব্যবহার করে চলেছে রাশিয়া। সম্প্রতি এই বিষয়ে জাতিসঙ্ঘের তথ্য জেনে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বে। জানা গেছে, অভিনব উপায়ে ইউক্রেনীয় নারীদের উপর যৌন হেনস্থাকেই ইউক্রেনকে ধ্বংস করার কাজে ব্যবহার করছে পুতিনের সেনা।
জাতিসঙ্ঘের সদস্য প্রেমিলা প্যাটেনের একটি মন্তব্য ঘিরে সমস্ত দেশগুলির মধ্যে তৈরি হয়েছে জোরালো চর্চা। প্রেমিলার প্যাটেন বলছেন, ইউক্রেনের নারীদের ধর্ষণ এবং তাঁদের উপর ঘৃণ্য যৌন নিপীড়ন চালিয়ে সেই দেশকে নিঃস্ব করে দেওয়ার ফন্দি করেছে রাশিয়া। যৌন নিপীড়নের অভিসন্ধি সফলভাবে কার্যকর করতে রুশ সেনাদের দেওয়া হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ ভায়গ্রা। এই ভায়াগ্রা আসছে রাশিয়া থেকেই। অর্থাৎ, এতদিন ধরে রাশিয়ার যে গুলিবর্ষণ, বোমা হামলা, পরমাণু-পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছিল সারা পৃথিবী, তার পেছনে সকলকে লুকিয়েই চলছিল ‘ভায়গ্রা’ অস্ত্র সরবরাহের কাজ। এইভাবেই সমূলে ইউক্রেনকে বিনাশ করে দিতে চাইছে রাশিয়া।
ইউক্রেনীয় মহিলাদের উপর রুশ সেনাদের যৌন অত্যাচারের কথা বারবার দেখা গেছে খবরের শিরোনামে। জাতিসঙ্ঘের তথ্য বলছে, দীর্ঘ দিনের এই যুদ্ধ চলার পাশাপাসি গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চলতি অক্টোবর পর্যন্ত ১০০টিরও বেশি ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রুশসেনাদের বিরুদ্ধে। যদিও, ইউক্রেনীয়দের বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে, আদতে যৌন নিপীড়নের সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, পূর্ব পাকিস্তানের সংগ্রাম, ভিয়েতনাম যুদ্ধ, কিংবা জার্মানি থেকে ইহুদিদের বিনাশের সময়েও যৌন হিংসার ঘটনা ঘটেছিল অগণিত। কিন্তু, সেই সব যুদ্ধে ভায়গ্রা ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা, অর্থাৎ, নারীদের ওপর অত্যাচারের জন্য বিশেষ পথ্যকে অস্ত্রের মতো হাতিয়ার করে তোলা হয়েছিল কিনা, তা অবশ্য কখনও শোনা যায়নি।
ভায়াগ্রা হল, যৌন বলবর্ধক ওষুধ। যদিও আসল ভায়াগ্রা ওষুধ হিসেবে তৈরি করে আমেরিকার ফাইজার কোম্পানি। যার দামও অন্যান্য ভায়াগ্রার তুলনায় অনেক বেশি। এই ওষুধে থাকা ‘সিলডেনাফিল সাইট্রেট’ নামক উপাদানের মধ্যেই থাকে আসল ক্ষমতা। এই যৌগের গুণে যৌন ইচ্ছা বেড়ে যায় স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। ভায়গ্রা খেলে পুরুষাঙ্গের পেশি ও রক্তবাহগুলি শিথিল হয়ে যায়, ওই অঞ্চলে রক্তপ্রবাহের মান বেড়ে যায়, এর ফলে লিঙ্গোত্থান ঘটে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, ভায়গ্রা খেলে তার এক ঘণ্টার মধ্যেই শরীরে কাজ শুরু হয়ে যায়। শারীরিক মিলনের আধ ঘণ্টা থেকে চার ঘণ্টা আগে এই ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। কার শরীরে কতক্ষণ এই পথ্য কাজ করবে, তা শরীরের গঠন অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে সাধারণত এই ওষুধ খাওয়ার চার থেকে আট ঘণ্টা পর অবদি এর প্রভাব কাজ করে। অর্থাৎ, শরীরকে এতটা সময় ধরে উত্তেজিত রাখে এই ওষুধ। তবে, এর অনেকগুলি খারাপ প্রভাবও আছে। লিঙ্গ সংক্রান্ত রোগ থেকে শুরু করে ভায়াগ্রা শরীরের রক্তচাপ, মাথা ব্যথা, রক্ত ক্ষরণ, অন্ধত্ব এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটিয়ে দিতে পারে।
এমন অবস্থায়, যৌন-শোষণে পাঠানো সেনাদের প্রভূত পরিমাণে ভায়াগ্রা সরবরাহকারি পুতিন সরকার ভায়াগ্রার নেতিবাচক দিকগুলি সৈন্যদের জানিয়েছেন বা সতর্ক করেছেন কিনা, তা অবশ্য জাতিসঙ্ঘের রিপোর্টে প্রকাশ পায়নি।
আরও পড়ুন-
নিশুতি রাতে দুলে উঠছে রাজবাড়ির দোলনা, কালীপুজোর অন্ধকারে বল্লভপুরে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের এ কেমন রূপকথা!
‘সৌরভের প্রতি এতই যখন আস্থা ও ভালোবাসা, তখন বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর শাহরুখ কেন’, মমতাকে কটাক্ষ শমিকের