সংক্ষিপ্ত

‘রঘুদা, কোথায় আপনি?’ ভয় পেয়ে রাজবাড়ির চাকরকে হাঁক দেন রাজাবাবু। অন্ধকারে গান গেয়ে যায় লাল শাড়ির সুন্দরী ‘ছন্দা’। এসভিএফকে বাদল সরকারে পৌঁছে দিলেন পরিচালক অনির্বাণ ভট্টাচার্য, তাঁর ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ দিয়ে।

চাঁদ ওঠে, ফুল ফোটে, কিন্তু, ৪০০ বছরের থমথমে রাজবাড়িতে ঘনঘোর অন্ধকারেই টিমটিমে প্রদীপটি টুপ করে নিভে যায়। ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ নাট্যকার বাদল সরকারের এক অনবদ্য ভুত-ভবিষ্যতের ছেলেখেলা। কালীপুজোয় বাঙালিকে হলে নিয়ে গিয়ে একটি বাঙালি ভুতের সাথে আলাপ করিয়ে দিতে চলেছেন বাঙালিরই প্রিয় মানুষ অনির্বাণ। আজ্ঞে হ্যাঁ, ‘মন্দার’-এর পর এসভিএফের হাত ধরে অনির্বাণ ভট্টাচার্য আবার পরিচালকের আসনে।

বাদল সরকার যেভাবে ভৌতিক কমেডির সাথে ব্যঙ্গকে মিলিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর রচনায়, ঠিক সেই সূক্ষ্ম আবেশগুলো বুনে বুনেই  ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ সিনেমার চিত্রনাট্য সাজিয়ে তুলেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং প্রতীক দত্ত। সিনেমাটোগ্রাফিতে সৌমিক হালদার এবং সঙ্গীত পরিচালনায় রয়েছেন শুভদীপ গুহ ও দেবরাজ ভট্টাচার্য। গোটা সিনেমাজুড়ে অপরিচিত শিল্পীদের সম্মেলনে পরিচিতা সুন্দরী সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি আরও উজ্জ্বল। তাঁর উপস্থিতিকে বর্ণময় করে তুলেছে শিল্পী সাহানা বাজপেয়ীর কণ্ঠে ‘সাজো, সাজাও এমন করে’ গানটি।

ছায়া এবং ছবি এখানে আলাদা আলাদা। ছবির আগে ছায়া হয়ে থাকে ছায়াময়। অর্থাৎ, ছবি রিলিজের আগে যে ট্রেলার, যে গান অথবা যে পোস্টারগুলি রিলিজ করা হয়েছে, বাংলার সিনেমাজগতে সেই গ্রাফিক্সের কাজও প্রশংসনীয়। গল্পটি চলতে থাকে বল্লভপুর রাজবাড়ির শেষ বংশধরকে কেন্দ্র করে। ভগ্নদশায় জর্জরিত এই রাজবাড়িতে বাস করেন কেবল দু'জন মানুষ। রায় রাজবংশের শেষ বংশধর ভূপতি রায় এবং তাঁর উত্তরাধিকার মনোহর। রাজবংশ বিলীন হবার কালে এই বিশালাকায় ৪০০ বছরের ধ্বংসাবশেষ ছাড়া কোনও ধন-সম্পদের চিহ্ন মাত্র বেঁচে নেই। ফলত, বাড়ির দুই সদস্যই ঋণের বোঝায় ভারাক্রান্ত। কিন্তু, হঠাৎই একদিন এসে যায় সম্পত্তি বিক্রি করার প্রস্তাব। হাল ফিরে পাবার আশায় বুক বাঁধেন দুই শরিক। ভূপতি রায়, মনোহর, বাড়ির ক্রেতা এবং এক বাঙালি ভুতের মাঝে জড়িয়ে পড়ে সুন্দরী ‘ছন্দা’-ও। ভয়, আতঙ্ক, উচ্ছ্বাস, দুর্ঘটনা, সবকিছুর সঙ্গে ভালোবাসা মিশে গিয়ে একটা গোলমাল তৈরি হয়। এই অদ-’ভুত’ গোলমালের একটা শেষ তো আছে, তার জন্যই সিনেমা হলে যেতে হবে অক্টোবরের ২১ তারিখ থেকে। ওইদিনই রিলিজ করছে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের ‘বল্লভপুরের রূপকথা’।

ছবিটিতে খুব বেশি এলিমেন্টের ভিড় বাড়াতে চাননি অনির্বাণ ও প্রতীক। অনির্বাণের কথায়, “বল্লভপুরের রূপকথা হালকা মেজাজের ছবি হলেও এতে থাকবে নানা চমক।” এসভিএফ-কে ধন্যবাদ জানিয়ে পরিচালক বলেছেন, “পরিচালক হিসাবে এটি আমার প্রথম ফিচার ফিল্ম। আমি আনন্দিত যে, এসভিএফ আমায় এমন একটি ছবি তৈরি করার দায়িত্ব দিয়েছে, যা আমি সবসময় করতে চেয়েছিলাম।”

আরও পড়ুন-
প্রকাশ্য রাস্তায় বয়ে যাচ্ছে টাটকা রক্ত! মেদিনীপুরের তমলুকে হাড়হিম করা ঘটনা
বিজেপি জেলা সভাপতির ছবি ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে তার ওপরেই প্রস্রাব! বিজেপি নেতার কাণ্ডেই হতবাক পদ্মশিবির
প্রিয় 'জিতু ভাই' আর নেই! শোকস্তব্ধ বলিউড, চোখে জল মনোজ বাজপেয়ী, সঞ্জয় মিশ্র, রাজেশ তৈলং-দের