রাশিয়ার হামলার পরই ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, রাশিয়ার এই হামলার জবাব দেবে ইউক্রেন।
ভোরবেলাই টেলিভিষণে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। তাঁর যুদ্ধ ঘোষণার পরই রুশ বাহিনী ইউক্রেন (Ukraine) আক্রমণ করে। রাশিয়ার (Russia) দাবি ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে ইতিমধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা। হামলা চালান হয়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভেও (Kyiv)। যুদ্ধের আতঙ্কে পুরোপুরি নিস্তব্ধ রাজধানী কিয়েভ। দীর্ঘ দিন ধরেই রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট চলছিল। এই অবস্থায় পুতিন জানিয়েছেন, আধুনিক ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে রাশিয়া নিজেকে নিরাপদ মনে করছে না। যা দিনে দিনে রাশিয়ার অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তুলছে। তাই এই যুদ্ধে রক্তপাতের সমস্ত দায়ই ইউক্রেনের। সেই কারণ দেখিয়ে তিনি ইউক্রেনের সেনা বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে বলেন। পুতিন আরও বলেছেন, রাশিয়ার উদ্দেশ্য ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখল করা বা রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা নয়। মস্কো কোনও কিছুই ইউক্রেনের ওপর চাপিয়ে দেবে না।
যদিও রাশিয়ার হামলার পরই ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, রাশিয়ার এই হামলার জবাব দেবে ইউক্রেন। এই যুদ্ধে তারা লড়াই করবে। জেতার বিষয়েও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে এটি একটা আগ্রাসনের যুদ্ধে। তাই ইউক্রেন রাশিয়ার কাছে মাথা নত করবে না।
ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হতে চাইছে। ন্যাটোভুক্ত দেশগুলিও তাতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু প্রাক্তন সোভিয়েতের দেশ ইউক্রেনকে কিছুতেই ন্যাটোর সদস্য হতে দিতে নারাজ রাশিয়া। পুতিন তাই ইউক্রেনকে দীর্ঘ দিন ধরেই ঘিরে রেখেছিল। তবে এখনও রাশিয়ার এই সামরিক অভিযান নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের অবকাঠামো ও সীমান্তরক্ষীদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। অনেক শহরে বিস্ফোরণে গুঁড়়িয়ে দিয়েছে। এক রাশিয়ান কর্মকর্তা নন-স্টপ সাইবার হানারও অভিযোগ করেছেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে।
পুতিনের যুদ্ধ ঘোষণার মাত্র তিন ঘণ্টা পরেই রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রক দাবি করেছে, ইউক্রেনের বিমান ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে রুশ সেনা। ব্যহত রয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বিমান পরিষেবা। অন্যদিকে রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দাবি করেছে পূর্ব ইউক্রেনের বিশে কিছু শহর তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদিও রাশিয়ার যুদ্ধ ঘোষণার কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা রুশ প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছিলেন। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গোলাগুলি চালানোরও অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁরা। রাশিয়ার এই হামলার ইউক্রেনে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।
'ডিএম কাকু'- বলে অফিসে ঢুকে নালিশ ৭ বছরের মেয়ের, অবাক জেলা শাসক
নিঝুম রাতে হরিদ্বার স্টেশনে হানা দিল গজরাজ , তবে প্ল্যাটফর্মে ঢুকে কিছুটা বিব্রত হাতিটি
রাশিয়ার যুদ্ধ ঘোষণার পরই হুঁশিয়ারি ব্রিটেনের, ইউক্রেনের পাশে থাকার বার্তা জনসনের