রাশিয়ার হামলার হামলার পরই প্রতিরক্ষ মন্ত্রকেরভবনের ছাদ থেকে কালো ধোঁয়া বার হতে দেখা গেছে। ভবনটি অক্ষত রয়েছে। যদিও ইউক্রেনের গোয়েন্দারে দাবি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ভবনে আগুন লাগান হয়নি।
রাশিয়ার ( Russia) হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেনের (Ukraine) রাজধানী কিয়েভ ( Kyiv )। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) ইক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তারপরই প্রাক্তন সোভিয়েতের এই দেশটি বিপর্যস্ত হয়ে পড়়েছে। যদিও ছোট্ট এই দেশটি এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করবে বলেও জানিয়েছেন। ইউক্রেন প্রশাসন জানিয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে তারা শেষ শক্তি দিয়ে লড়াই করবে। আর এই রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা জয়ী হবে। কিন্তু যুদ্ধের ছবি বলছে অন্য কথা। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের মধ্যভাগে রয়েছে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি কার্যালয়। সূত্রের খবর এখান থেরেই দেশের গোয়েন্দাবিভাগের কাজকর্ম পরিচালিত হয়। কিন্তু এদিন সেই কার্যালয় থেকে কালো ধোঁয়া বার হতে দেখা গেছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছেন রাশিয়ার হামলার হামলার পরই প্রতিরক্ষ মন্ত্রকেরভবনের ছাদ থেকে কালো ধোঁয়া বার হতে দেখা গেছে। ভবনটি অক্ষত রয়েছে। যদিও ইউক্রেনের গোয়েন্দারে দাবি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ভবনে আগুন লাগান হয়নি। তারপাশের একটি বাড়িতে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ করছে দমকল বাহিনীর সদস্যরা।
কিয়েভ প্রশাসন জানিয়েছে রাশিয়ার ক্রমাগত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সূত্রের খবর রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার প্রথম দিনেই ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইউক্রেন দেশের সমস্ত বিমান ও জাহাজ বন্দর বন্ধ করে দিয়েছে। আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল দেশের আকাশসীমা। গোটা দেশেই প্রকট হচ্ছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ছবিটা। অন্যদিকে ১৪ জন সদস্য নিয়ে যাওয়ার পথে ইউক্রেন সেনার একটি বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। রাশিয়ার দাবি ইউক্রেনের এয়ারবেস গুঁড়িয়ে দিয়েছে রুশ বাহিনী। পাল্টা ইউক্রেনের দাবি ৬ টি রুশ যুদ্ধ বিমান গুলি করে নামিয়েছে ইউক্রেন সেনা।
যদিও রাশিয়ার ইউক্রেন হামলায় অধিকাংশ দেশই রুশ প্রেসিডেন্টের তীব্র সমালোচনা করেছে। ফ্রান্সের প্রধান ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ইউরোপের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ। যা আগামী দিনে অন্যইতিহাস লিখতে চলেছে। ন্যাটোর প্রধান জানিয়েছেন, যুদ্ধ সমর্থন করে না তারা। স্বাধীনতা আর গণতন্ত্রই সর্বদা প্রাধান্য পায়। অবিলম্বে সামরিক অভিযান বন্ধ করারও আর্জি জানিয়েছে ন্যাটো।
সামিরক অভিযানের পাশাপাশি রাশিয়া (Russia) কি ইউক্রেনের (Ukraine) বিরুদ্ধে সাইবার অভিযানও চালাচ্ছে? কারণ সম্প্রতি ইউক্রেন প্রশাসন দাবি করেছে দেশের প্রধান প্রধান ওয়েবসাইটগুলি (Website) বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ডাউন হয়ে রয়েছে। তাতেই ইউক্রেন মনে করেছে রাশিয়া সামরিক যুদ্ধ ঘোষণার পাশাপাশি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সাইবার আক্রামণও চালিয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, ১৯১ শতাংশ নিচে নামল বিটকয়েন
রাশিয়ার পরিকল্পনা ইউক্রেন দখল নয়, হামলার পর বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন
যৌনতা নিয়ে বিতর্ক মন্তব্য পুতিনের, সমালোচনার তোয়াক্কা না করে গ্রুপ সেক্সকে সমর্থন রাশিয়ার প্রধানের