সংক্ষিপ্ত

বেশ কয়েক দিন ধরেই অস্থিরতা ছিল রাশিয়া ও প্রতিবেশী ইউক্রেনের মধ্যে। এদিন ভোররাতে রুশ প্রেসিডেন্টের জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার পরই রাশিয়া আক্রমণ করে ইউক্রেন। অন্যদিকে পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলিকেই একই সঙ্গে মদত দিয়ে চলেছে রাশিয়া। 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine war) থামাতে ভারতের হস্তক্ষেপ চাইল ইউক্রেন (Ukraine)। ভারতে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত (ukraine envoy) ইগর পোলিখা জানিয়েছেন, ভারত একটি শক্তিশালীদেশ। তাই এই বিষয়ে ভারতের (India) একটি জোরালো কণ্ঠশ্বরের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি যে কোনও সময়ই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। আর তা যদি হয় তাহলে তা আর কোনও একটি অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। পোলিখা আরও বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বিশেষ হৃদ্যতার সম্পর্ক রয়েছে। ভারত-রাশিয়ার  কৌশলগত সম্পর্কও অত্যান্ত মসৃণ। তারপরই তিনি বলেন, 'মোদীজি যদি পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন।' তিনি বলেন, ভারত যদি ইউক্রেন - রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে কথা বলে তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) কথা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুবেন-এমনটাই আশা করছে ইউক্রেন। 


বেশ কয়েক দিন ধরেই অস্থিরতা ছিল রাশিয়া ও প্রতিবেশী ইউক্রেনের মধ্যে। এদিন ভোররাতে রুশ প্রেসিডেন্টের জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার পরই রাশিয়া আক্রমণ করে ইউক্রেন। অন্যদিকে পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলিকেই একই সঙ্গে মদত দিয়ে চলেছে রাশিয়া। রাশিয়ার হামলায় প্রায় বিপর্যস্ত ইউক্রেন। যদিও পাল্টা আক্রমণ প্রতিহত করার দাবি করছে ইউক্রেন।

এদিন ভারতে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত বলেন রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো। তাই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ভারতের আরও সক্রিয় হওয়া জরুরি। তিনি আরও বলেন, ভারত সক্রিয় হোক এটা শুধু ইউক্রেনের স্বার্থের সঙ্গে জড়িত এমনটা নয়। ভারতের নাগরিকদের জন্যও তা অত্যান্ত প্রয়োজন। ইগর পোলিখা বলেন প্রায় ১৫ হাজার ভারতীয় নাগরিক ইউক্রেনে রয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছে বহু ছাত্রও। তাদের নিরাপত্তার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের কথা বলা জরুরি। 

ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত বলেন পুতিন সবেমাত্র হামলা চাইছেন। তাই এখনই পুতিনকে থামানো জরুরি। এটা আগ্রাসন তা স্পষ্ট হয়েছে। রাশিয়ার বিবৃতিরও তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। বলেছেন, রাশিয়ার সেনা অভিযানের শুধুমাত্র সেনা বাহিনীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। হামলার কারণে   ইউক্রেনের সাধারণ মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে। যা ইউক্রেনে মেনে নেবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। রাশিয়া যে সংঘাতের পথে গেছে তা অপ্রত্যাশিত বলেও দাবি করেছেন তিনি। 

ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাশিয়ার  সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য বারবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল রাশিয়ার কাছে। কিন্তু পুতিন তাতে সাড়া দেননি। তিনি আরও বলেন কোনও দেশের পক্ষ থেকে প্রোটোকল বিবৃতি চায় না ইউক্রেন। বিশ্বের সবকটি দেশ ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ার ইউক্রেনকে সমর্থন করুক- সেটাই চাইছে কিয়েভ প্রশাসন ও দেশের সাধারণ মানুষ। 

অন্যদিকে রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার পরই ভারত রাষ্ট্রসংঘে বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বলেছেন আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। রাষ্ট্রসংঘের ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বলেছেন, অবিলম্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি। উত্তেজনা আরও বাড়ুক এমন কোনও পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

রাশিয়ার পরিকল্পনা ইউক্রেন দখল নয়, হামলার পর বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন

তৃণমূলের সায়ন্তিকার প্রচারে দলবদল, 'ক্ষমা' চেয়ে দলে ফিরলেন বিজেপি প্রার্থী

ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারে বৈঠক, চালু বিদেশ মন্ত্রকের কন্ট্রোলরুম