আশা জাগিয়ে সিডনিতে খুলল সমুদ্র সৈকত, অ্যাডিলেইডের রাজপথে খেলায় ব্যস্ত ক্যাঙ্গারু

 

  • করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে অস্ট্রেলিয়ায়
  •  সিডনির ৩ টি সমুদ্র সৈকত  খুলে দিল প্রশাসন
  • লকডাউনের কারণে প্রায় একমাস বন্ধ  ছিল সৈকতগুলি
  • তবে দেশে আরও ৪  সপ্তাহ লকডাউন চলবে বলেই ইজ্ঞিত

Asianet News Bangla | Published : Apr 20, 2020 9:13 AM IST / Updated: Apr 20 2020, 02:48 PM IST

গোটা বিশ্বের মতই করোনার থাবা পড়েছে অস্ট্রেলিয়াতেও। এখনও পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৬১৯। মৃত্যু হয়েছে ৭১ জনের। যদিও সীামান্ত বন্ধ ও মানুষের চলাফেরায় কড়াকড়ি আরোপের মাধ্যমে দারুণ সাফল্য পেয়েছে দেশটি। আমেরিকা বা ইতালির মতো করোনাভাইরাসের মারাত্মক ছোবল অস্ট্রেলিয়বাসীর ওপর পড়েনি। বরং কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় অস্ট্রেলিয়ার বন্দর নগরী সিডনির তিনটি সমুদ্র সৈকত সোমবার ভোর থেকে খুলে দিল প্রশাসন। দেশজুড়ে লকডাউনের কারণে প্রায় একমাস বন্ধ ছিল সিডনির সৈকতগুলি। ছিল না কারও প্রবেশাধিকার। তবে এদিন সাকলে মেরুব্রা, ক্লোভেলি এবং কুগি সৈকত স্থানীয়দের জন্য খুলে দেওয়া হলেও সামাজিক দূরত্বের নিয়মে কোনও শিথিলতা আনা হয়নি। সৈকত খুলতেই মেরুব্রায় অনেককেই সার্ফিং করতে দেখা গেছে। সৈকতগুলোতে  ব্যায়াম করারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে।  তবে সিডনির বিখ্যাত বন্ডি সমুদ্র সৈকত এখনও বন্ধ রয়েছে।

দেশে আরও বাড়ছে লকডাউনের মেয়াদ, ইজ্ঞিত দিল বিমান সংস্থাগুলিকে দেওয়া ডিজিসিএ-র নির্দেশ

দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ১৭ হাজার, লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দিল তেলেঙ্গনা

লকডাউনে গৃহবন্দি মানুষ, জনশূণ্য রাস্তায় নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে পশুরাজের পরিবার, ভাইরাল হল ছবি

তবে সমুদ্র সৈকত খুলে দেওয়ার এমন সিদ্ধান্ত বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। কেননা অস্ট্রেলিয়ায় করোনার সংক্রমণ কমে গেলেও এই সমুদ্র সৈকতগুলোই ভাইরাস ছড়ানোর হট স্পটগুলোর মধ্যে রয়েছে। তবে দেশটির সরকার বলছে, করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে। নাগরিকদের ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরিয়ে আনতেই সমুদ্র সৈকত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার তিনটি বৃহত্তম রাষ্ট্র প্রদেশ সাউথ ওয়েলস, ভিক্টোরিয়া এবং কুইন্সল্যান্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র সাতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। তবে সমুদ্র সৈকত খুলে দিলেও এখনও দেশটিতে লকডাউন চলছে। কর্তৃপক্ষ বার বার নাগরিকদের সতর্ক করছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ইজ্ঞিত দিয়েছেন, এই লকডাউন আরও কমপক্ষে  চার সপ্তাহ রাখা হবে। 

 করোনা মোকাবিলায় আমেরিকার মত চিনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অস্ট্রেলিয়াও। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যারিস পিয়েনে রবিবার বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে চীনের স্বচ্ছতার বিষয়টি এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর প্রাদুর্ভাব কীভাবে হল এবং কীভাবে ছড়াল- এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন, এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়া জোর দিচ্ছে।

করোনায় লকডাউনের মাঝেই অস্ট্রেলিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে উঠেছে। ভিডিওটি সম্প্রতি প্রকাশ করেছে সাউথ অস্ট্রেলিয়া পুলিশ। লকডাউনের কারণে ১ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষের বাস অ্যাডিলেইড শহরের ফাঁকা রাস্তায় মহানন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে ক্যাঙ্গারু।

 

Share this article
click me!