সংক্ষিপ্ত

  • করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঢেকাতে বিশ্বজুড়ে চলছে লকডাউন
  • মারণ সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এখন গৃহবন্দি মানুষ
  •  বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ফাঁকা রাস্তাঘাটে  প্রাণীরা নির্ভয়ে ঘুরছে
  • রাজপথে জিরিয়ে নিতে দেখা গেল সিংহ পরিবারকে

করোনাভাইরাসে বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে। সংক্রমণের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়লেও প্রতিষেধক জানা নেই চিকিৎসকদের। এই অবস্থা বিভিন্ন দেশই লকডাউনের পথে এগোচ্ছে। একই পথে এগিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাও। মারণ সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নিজেদের ঘরবন্দি রাখা ছাড়া উপায় নেই দক্ষিণ আফ্রিকাবাসীদের কাছেও। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সবার বাইরে বের হওয়া নিষেধ। তাই রাস্তা-ঘাটে মানুষের আনাগোনা কম। আর এই সুযোগে একটু রাজপথে জিরিয়ে নিতে দেখা গেল সিংহ পরিবারকে।

করোনা  সংক্রমণের কারণে চলতে থাকা লকডাউনে রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে পড়েছে। সৈকত নীরব। এই সুযোগে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ফাঁকা রাস্তাঘাটে বিভিন্ন প্রাণীরা  নির্ভয়ে ঘুরে বেড়ানোর একাধিক ছবি ভাইরাল রয়েছে। সম্প্রতি এমনই এক সুন্দর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হল দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রুগার ন্যাশনাল পার্ক।

মোদীর পর এবার ইমরানের দিকে সাহায্যের হাত, পাকিস্তানকে ৮.৪ মিলিয়ন ডলার দিলেন ট্রাম্প

দেশে একসঙ্গে করোনা আক্রান্ত ৪২৯ জন তবলিগি, পরিস্থিতি সামলাতে দিশেহারা ইসলামাবাদ

করোনা এড়াতে বাড়িতে থাকার পরামর্শ, প্রেসিডেন্টের বিরাগভাজন হয়ে পদ হারালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

পার্কে রুটিন টহল দিতে গিয়ে বিরল দৃশ্য দেখলেন পার্ক রেঞ্জার রিচার্ড সৌরি। তিনি দেখেন, সেখানে পার্কের ভিতরে রাস্তা জুড়ে আরামে ঘুমচ্ছে সিংহের দল। পর্যটকদের জেরে নাজেহাল সিংহদের এর আগে কখনও দিনের বেলায় এ ভাবে রাস্তার উপর নিশ্চিন্তের ঘুম দিতে দেখেননি তিনি।

ট্যুইটে তিনি বলেন, "এই সিংহগুলো কেম্পিয়ানা কন্ট্রাক্টাল পার্কে থাকে। এদিকে খুব একটা যান না ক্রুগার পর্যটকরা। এ কারণে সিংহগুলো চোখেও পড়ে না। অর্পেন রেস্ট ক্যাম্পের পাশের রাস্তায় শুয়ে ছিল সিংহগুলো।"

করোনাভাইরাসের জেরে দক্ষিণ আফ্রিকা জুড়ে গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কেও চলছে লকডাউন। কিন্তু পার্কের দেখভালের জন্য এবং বন্যপ্রাণীদের চোরাশিকারিদের হাত খেকে রক্ষা করার জন্য লকডাউনের মধ্যেও পার্ক রেঞ্জার রিচার্ড কর্তব্য পালন করে চলেছেন।

পার্কের পরিস্থিতি দেখতে তিনি টহল দিতে গাড়ি নিয়ে বের হন। তখনই পার্কের ভিতরে রাস্তার উপর এমন বিরল দৃশ্য দেখে থমকে যান। সিংহদের থেকে মাত্র পাঁচ মিটার দূরত্বে গাড়ি থামিয়ে মোবাইল ফোনে কতগুলো ছবি তুলে ফেলেন। রিচার্ড জানান, সাধারণত মানুষদের গাড়িতে দেখতেই অভ্যস্ত বন্যপ্রাণীরা। সে কারণে এত কাছে গাড়ি নিয়ে গেলেও ভয়ের কিছু দেখছিল না তারা। নিশ্চিন্তে ঘুম দিচ্ছিল।

 

 

এর আগেও অনেক বার রাস্তার উপর সিংহের দলকে শুয়ে থাকতে দেখেছেন রিচার্ড। তবে সেটা সাধারণত শীতকালে এবং রাতে। কারণ রাস্তার পিচ অনেক রাত পর্যন্ত গরম থাকে, তাই শীতে সন্ধ্যা নামার পর সিংহের দল গা গরম করতে রাস্তায় এসে শুয়ে থাকে অনেক সময়ই।

আফ্রিকার মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে দক্ষিণ অফ্রিকাতেই। এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছে ৩ হাজারের বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের।