পঞ্জশিরে খাজানার সন্ধান পেল তালিবান, উদ্ধার লক্ষ লক্ষ ডলার-সোনার ইট ভরা সুটকেস

আফগানিস্তানে ব্যাপক নগদ অর্থের সংকটের মধ্যেই পঞ্জশিরে খাজানার সন্ধান পেল তালিবানরা। লক্ষ লক্ষ মার্কিন ডলার এবং সোনার ইট উদ্ধারের দাবি করা হল প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি আমিরুল্লা সালের বাড়ি থেকে। 
 

amartya lahiri | Published : Sep 14, 2021 4:20 PM IST

আফগানিস্তানে যখন ব্যাপক নগদ অর্থের সংকট চলছে, সেই সময়, মঙ্গলবার এক ভিডিওতে তালিবান যোদ্ধাদের হাতে দেখা গেল লক্ষ লক্ষ মার্কিন ডলার এবং সোনার বাঁট। তালিবানদের দাবি ওই অর্থ, কয়েকদিন আগে পর্যন্ত পঞ্জশির উপত্যকায় আশ্রয় নেওয়া প্রাক্তন আফগান উপরাষ্ট্রপতি আমিরুল্লা সালের। তিনি বেআইনিভাবে ওই সম্পত্তি করেছিলেন বলে দাবি তালিবানদের। 

এদিন তালিবান কর্মকর্তারা সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভিডিওটি পোস্ট করেন। সেখানে তালিবান যোদ্ধাদের মাটিতে বসে একটি স্যুটকেস থেকে নগদ অর্থ ও সোনার ইট বের করে গণনা করতে দেখা যায়। তালিবানদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ওই অর্থ ও সোনা প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালের পঞ্জশির উপত্যকার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এক তালিবান যোদ্ধা বলেন, পঞ্জশির উপত্যকার পতনের পরের দিনই তারা প্রায় এক লক্ষ মার্কিন ডলার উদ্ধার করেছিল। আর পরে আরও তল্লাশি চালিয়ে ৬৫ লক্ষ মার্কিন ডলার ও ১৮টি সোনার ইট উদ্ধার করা হয়েছে সালের বাড়ি থেকে। 

 

"

দেশে চরম আর্থিক সংকটের মুখে তালিবানরা এখন আগের সরকারের উচ্চপদস্ত কর্তাদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান চালাচ্ছে। ব্যাঙ্কে ব্যাঙ্কে হানা দিয়ে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আফগান সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের হিসাব পত্তর পরীক্ষা করছে তালিবানরা। তাদের দাবি এসবই অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ। এই তালিকায় সরকারি চাকুরিজীবী, মন্ত্রী ও সংসদরা আছেন। 'তালেবান অডিটর'দের দল ব্যাঙ্কে গিয়ে, নির্দিষ্ট নাম ধরে প্রাক্তন কর্মকর্তাদের হিসাব যাচাই করছেন।

আরও পড়ুন - আত্মঘাতী হামলার নেটওয়ার্ক চালাত, সেই জঙ্গিই হল তালিবানর গোয়ান্দা বিভাগের উপপ্রধান, দেখুন

আরও পড়ুন - 'কাপড় ছুঁয়ো না' - তালিবান-বিরোধী প্রতিবাদে নেটদুনিয়ায় রঙ লাগালেন আফগান সুন্দরিরা, দেখুন

আরও পড়ুন - লো প্রোফাইল প্রধানমন্ত্রী, নির্মম জঙ্গি থেকে ধুরন্ধর প্রচারক - চিনে নিন নয়া তালিবানি সরকার

আফগান জনতার জন্য পাঠানো বিদেশি সহায়তার লক্ষ লক্ষ ডলার লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে পূর্ববর্তী আশরাফ ঘানির প্রশাসনের বিরুদ্ধে। খোদ ঘানি নিজেও তার ব্যতিক্রম নন। এমনকী গত ১৫ আগস্ট কাবুল ছেড়ে পালানোর সময়ও তিনি ১২ কোটি ৩০ লক্ষ মার্কিন ডলারের সম্পদ সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। তিনি অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।


 

Share this article
click me!