তালিবানদের বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি, রাজনৈতিক অবস্যা আর নিরাপত্তা। সংগঠনের সদস্যদের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
সরকার গঠনে রীতিমত তৎপর তালিবানরা। সংগঠনের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মাজাহিদ জানিয়েছেন আফাগনিস্তানের কান্দাহার প্রদেশে তালিবান নেতৃত্ব বৈঠকে বসেছিলেন। তিন দিন ধরে চলে সেই বৈঠক। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জাবিউল্লাহ আরও জানিয়েছেন বিশ্বস্ত কমান্ডার ইসলামিক আমিরাতের সর্বোচ্চ নেতা শেখ আল-হাদিস হিবুল্লাহর সভাপতিত্বে এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি, রাজনৈতিক অবস্যা আর নিরাপত্তা। আফগানিস্তানের সামাজিক সমস্যা নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। একটি সূত্র বলছেন তালিবান নেতারা দেশের নাগরিকদের সঙ্গে ভালো আচরণের ওপরে জোর দিয়েছেন। পণ্য পরিবহণের সুযোগ সুবিধে নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তালিবান নেতারা আগের ঘোষণা অনুযায়ী ইসলামের নিয়ম মেনেই সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সভা শেষে দলের সদস্যদেন সমস্ত নির্দেশ ও কার্যভারও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তেমনই জানিয়েছেন জাবিউল্লাহ।
bs
'আত্মসর্পণ অথবা মৃত্যু', আফগান নাগরিকদের বাড়ির দরজায় পেরেকে আঁটা তালিবান চিরকূটে আতঙ্ক
তালিবানদের সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক ভারতের, দোহায় স্টানিকজাইয়ের সঙ্গে কথা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের
নির্ধারিত সময়সীমার আগেই মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ত্যাগ করে। তারপরেই কাবুল বিমান বন্দরের দখল নেয় তালিবানরা। এদিনই সংগঠনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে ২০ বছরের যুদ্ধের অবসান হয়েছে। আফগানিস্তানকে স্বাধীন দেশ হিসেবেই ঘোষণা করা হয়ে। ২০২০ সালে তালিবান-মার্কিন চুক্তি অনুযায়ী স্থির হয়েছিল আফগানিস্তানের নতুন নামকরণ হবে ইসলামিক আমিরাত। আগে থেকেই তালিবানরা জনিয়েছিল বিদেশি শক্তি চলে না যাওয়া পর্যন্ত তারা সরকার গঠন করবে না। সেই সময় কাবুল দখলের ১৫ দিন কেটে যাওয়ার পরেও সরকার গঠন নিয়ে তেমন কোনও উচ্চবাচ্চা করেনি তালিবানরা।এদিনই সরকার গঠন নিয়ে বৈঠকের কথা জানিয়েছেন দলের মুখপাত্র। তবে তালিবানরা এখনও সামনে আনেনি দলের সুপ্রিম হাইবাতু্ল্লাহ আখুনজাদাকে। একটি সূত্র বলছেন তালিবানরা সরকার গঠন করলে তিনি থাকবেন দলের মাথায়।