সংক্ষিপ্ত
মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরেই তালিবানরা ত্রাসের রাজত্ব শুরু করেছে। বাছা বাছা আফগান নাগরিকদের বাড়িতে পাঠাচ্ছে হুমকির চিরকূট।
মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর বর্তমানে পুরোপুরি আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবানরা। তার মধ্যেই শুরু করে দিয়েছি তালিবানি আটরণ। ইতিমধ্যেই বাছাই করা সাধারণ আফগান নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে চিরকূট। যেখানে লেখা রয়েছে ,'হয় আত্মসমর্পন কর নয়তো মরো'। শহর ছাড়িয়ে গ্রামের আফগানবাসীরাও ইতিমধ্যেই তালিবানি চিরকূট হাতে পেয়েছেন। মূলত তাদেরই এই চিরকূট পাঠান হয়েছে যারা তালিবানদের বিরুদ্ধে মার্কিন অথবা ন্যাটোর সেনাদের সাহায্য করেছিল।
ডেইলি মেইল জানিয়েছে, চিরকূটে সংশ্লিষ্ট নাগরিকদের তালিবান-আাদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদেশ যদি অমান্য করা হয়, তাহলে মৃত্যু অবধারিত বলেো হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তালিবানরা সোভিয়ের পতনের পরে যখন আফগানিস্তানের দখল নিয়েছিল তখনও এই পন্থা অবলম্বন করেছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ভয়ের সঞ্চার করতেই এই পদক্ষেপ নেয় তালিবানরা।
ধূপগুড়িতে টিকা কেন্দ্রে চরম বিশৃঙ্খলা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশান বিজেপির
তালিবানদের সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক ভারতের, দোহায় স্টানিকজাইয়ের সঙ্গে কথা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের
Covid 19: করোনা টিকা প্রদানে রেকর্ড কেন্দ্রের, সব মাইলফলক পার করল মঙ্গলের টিকাকরণ
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যারা এই ধরনের চিরকূট পেয়েছেন তাদের মধ্যে একজন হলেন ৩৪ বছরের নিয়াজ নাজ। হেলমান্দ প্রদেশে মার্কিন সেনাদের রাস্তা আর ক্যাম্প তৈরি করতে সহযোগিতা করেছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন ব্রিটেনে শরানার্থী হিসেবে চলে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি পাননি। নাজ আরও বলেছেন চিঠিটি সরকার আর তালিবানদের দ্বারা ছাপা হয়েছে। এটি স্পষ্ট যে তালিবানরা তাকে হত্যা করতে চায়। আদালতে হাজির না হলে মেরে ফেলবে। আর আদালতে হাজির করে কঠোর শাস্তি দেবে। বর্তমানে তিনি আত্মগোপন করে রয়েছেন। দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন বলেও জানিয়েছেন। নাজ সাধারণ একজন দোভাষী ছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে বাড়ির দরজায় পেরেক দিয়ে আটকানো তালিবানদের চিঠিটি পেয়েছে। তাঁকে না পেলে তালিবানরা তার পরিবারেও ক্ষতি করতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তিনি। নাজের মতই শত শত আফগান রয়েছেন যাঁরা চরম আশঙ্কা আর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।