Donald Trump On Russian Oil: রাশিয়ার কাছ থেকে ইউরোপের দেশগুলির তেল কেনা বন্ধ করতে এবার আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মস্কোকে চাপে ফেলতে নয়া কূটনৈতিক চাল ট্রাম্পের। বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…
ট্রাম্পের কথা মানছে না ইউরোপের দেশগুলি। কারণ, রুশ-ইউক্রেন সঙ্ঘাতের মধ্যেই দেদার সস্তায় রাশিয়া থেকে তেল কিনছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশগুলি। যা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার দাবি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো ভুক্ত দেশগুলি এখনও সস্তায় রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনেই যাচ্ছে। মস্কোর প্রতি নরম মনোভাব পোষণ করছে।
25
রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা করার বার্তা
গত অগাস্ট মাসে আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেও গলেনি বরফ। তারপরও ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে অটল রাশিয়া। এই অবস্থায় এবার দুই দেশের মধ্যে চলা এই সঙ্ঘাত বন্ধ করতে ইউরোৌপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা এবং তাদের কাছ থেকে তেল না কেনার পরামর্শ দিয়েছেন ট্রাম্প।
35
রাশিয়ার ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা
এই বিষয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন যে, ‘’ইউরোপ রাশিয়া থেকে তেল কিনছে। আমি চাই না তারা তেল কিনুক - এবং তারা যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে তা যথেষ্ট কঠোর নয়।'' এখানেই শেষ নয়, ট্রাম্পের দাবি, আমেরিকা রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চাই। কিন্তু সেক্ষেত্রে ইউরোপের সহযোগিতার প্রয়োজন। তারা যতক্ষণ না পর্যন্ত রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা না বন্ধ করছে ততক্ষণ এটি সম্ভব নয়।
ন্যাটো জোটের পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রসর হবে কিনা? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, "আমি প্রস্তুত, কিন্তু তাদেরও এটি করতে হবে। এখন তারা শুধু কথা বলছে, কোনো কাজ করছে না। দেখুন, তারা রাশিয়া থেকে তেল কিনছে, আমরা কিনছি না। তারা প্রচুর তেল কিনছে, যা চুক্তির পরিপন্থী।"
55
রাশিয়ার ওপর ক্ষুদ্ধ ট্রাম্প!
বিগত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রুশ-ইউক্রেন সঙ্ঘাত। দুই দেশের এই যুদ্ধ থামাতে সংঘর্ষ বিরতি থেকে জেলেনস্কি-পুতিনকে এক আলোচনার টেবিলে বসিয়ে যুদ্ধের সমাধান সূত্রের কথা বারবার বলেছেন ট্রাম্প। তারপরও মেটেনি দুই দেশের কোন্দল। এমনকি রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্প একান্তে বৈঠক করলেও তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। এই অবস্থায় এবার ন্যাটো ভুক্ত দেশগুলিকে রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় তেল কেনা নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।