গুলিবর্ষণে কভেনেন্ট স্কুলের তিন শিশুই আহত হয়েছে। গুলি চালানোর সময় স্কুলে নার্সারি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। আহত শিশুদের মনরো ক্যারেল জুনিয়র চিলড্রেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।
গুলিবর্ষণের ঘটনায় আরও একবার নড়েচড়ে বসেছে আমেরিকা। সোমবার, টেনেসির ন্যাশভিলের একটি বেসরকারি খ্রিস্টান স্কুলে এক হামলাকারী নির্বিচারে গুলি চালায়। এই ঘটনায় তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে, অনেক আহত হয়েছে। আহতদের কাছের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই সঙ্গে সন্দেহভাজন হামলাকারীকেও হত্যা করেছে পুলিশ। হামলার শিকার স্কুলের নাম বলা হচ্ছে কনভেন্ট স্কুল। ঘটনার পর থেকে এলাকায় ভারী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গুলিবর্ষণে কভেনেন্ট স্কুলের তিন শিশুই আহত হয়েছে। গুলি চালানোর সময় স্কুলে নার্সারি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। আহত শিশুদের মনরো ক্যারেল জুনিয়র চিলড্রেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়। হামলায় কতজন শিক্ষার্থী ও স্কুলের কর্মচারী আহত হয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। সন্দেহভাজন ব্যক্তিও পুলিশের সাথে এনকাউন্টারে মারা গেছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই গুলির কবলে পড়ে অনেকে। অনেকে নিহত বা আহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ন্যাশভিল পুলিশ টুইটারের মাধ্যমে জানিয়েছে যে কনভেন্ট স্কুল কভেন্যান্ট প্রেসবিটারিয়ান চার্চে একটি গুলির ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীকে MNPD (মেট্রোপলিটন ন্যাশভিল পুলিশ বিভাগ) ঘিরে ফেলে এবং গুলি করে হত্যা করে।
রবিবার বিকেলে গুরুদ্বারে গুলি চালানো হয়
রবিবার বিকেলে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টোর একটি গুরুদুয়ারে বন্দুকবাজের গুলিতে আহত হলেন দুজন। জানা গিয়েছেন, রবিবার বিকেলে স্থানীয় সময় আড়াইটে নাগাদ গুরুদ্বার স্যাক্রামেন্টো শিখ সোসাইটিতে গুলি চলে। বিকেল ৩.৩০ নাগাদ পুলিশ আধিকারিকদের প্যারেড থেকে দুজনকে নিয়ে যেতে দেখা যায়। যদিও গুলি চালানোর সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার বিষয় সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি। ঠিক কেন দুষ্কৃতীরা গুলি চালাল তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
স্যাক্রামেন্টো কাউন্টি শেরিফের মুখপাত্র সার্জেন্ট অমর গান্ধী জানিয়েছেন, যে মন্দির চত্বরে দুজনের মধ্যে একটি ঝামেলা শুরু হয়েছিল। পরে গুড়ি চলে। তিনি জানান, সন্দেহভাজনদের মধ্যে প্রথমজনকে আটক করা হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ব্যক্তি পলাতক। তিনি জানান, এর আগে কোনো একটি বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একজন সন্দেহভাজন তখন তার বন্দুক বের করে এবং লড়াইয়ে জড়িত অন্য ব্যক্তির এক বন্ধুকে গুলি করে। এরপর গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি বন্দুকটি বের করে প্রথম বন্দুকধারীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।