সিমিসিপির পশ্চিম প্রান্তে সিলভার সিটিতে টর্নেডো আছড়ে পড়ে। টর্নেডোর আঘাতের পরই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ শুরু করে।
টর্নেডো লন্ডভন্ড করে দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপিকে। শুক্রবার গভীর রাতে টর্নেডোর দাপটে কমপক্ষে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আতহের সংখ্যা শতাধিক। রাজ্যের জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছেন টর্নেডোর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। কোথাও কোথাও তারও তার থেকেও গতি বাড়িয়েছিল রাক্ষুসে টর্নেডো।
সিমিসিপির পশ্চিম প্রান্তে সিলভার সিটিতে টর্নেডো আছড়ে পড়ে। এই এলাকায় ২০০ জনের মত নাগরিকের বাস। টর্নেডোর আঘাতের পরই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ শুরু করে। তবে এখনও পর্যন্ত চার জনের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। মিসিসিপির জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছেন ত্রাণ বিলির কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধারকাজও চলছে। নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তবে এই বিভাগ জানিয়েছে, মৃত্যুর ঘটনা আরও বাড়তে পারে।
সংবাদ সংস্থা সিএনএন জানিয়েছেন ১৭০০ জনের বাসবাসের একটি এলাকা রোলিং ফর্ক। সেখানেও টর্নডো আঘাতহানে। অনুসন্ধান ও উদ্ধাকরারী দল সাহায্যের জন্য বেরিয়ে পড়েছে।
ইতিমধ্যেই ভয়ঙ্কর টর্নেডোর কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে বলা হয়েছে এমন ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগ আগে সেখানে দেখা যায়নি। এক নেটিজেন জানিয়েছেন এমন ঝড় তিনি আগে দেখেননি। বেশ কিছু জনবসতি এলাকায় সম্পর্ণ বিলুপ্ত হয়েছে মাত্র কয়েক ঘণ্টার প্রাকৃতিক দুর্যোগে। তিনি জানিয়েছেন তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়ির আর কোনও অস্তিত্ব নেই। বাড়িতে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।
এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন তাঁর এক বন্ধুর বাড়ের দেওয়ালগুলি আচমকাই ভেঙে পড়ে। বন্ধুটি ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েছিল দীর্ঘক্ষণ। উদ্ধারকারী দল তাঁকে উদ্ধার হয়েছে। তবে তাঁর বাড়ির বেশ কয়েকজনকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ইউনাইটেড কাজুন নেভির প্রেসিডেন্ট টড টেরেল এবিসি নিউজকে বলেছেন, রোলিং ফর্ক এলাকাটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। অনেক স্থায়ী বাসিন্দা ঘরের মধ্যে বা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে রয়েছে। তিনি বলেন, ২০১১ সালে মিসৌকরির জপলিনের একটি এজাতীয় একটি টর্নেডো হয়েছিল। সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১৬১ জনের মৃত্যু হয়।
তবে আবহাওয়া দফতর আগেই টর্নেডোর পূর্বাভাস দিয়েছেল। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত টর্নেডো সংক্রান্ত প্রায় ২৪টি রিপোর্ট করা হয়েছে। মিসিসিপির পশ্চিম প্রাপ্ত থেকে আলাবামা পর্যন্ত ঝড়ের এলাকা নির্ধারও করে দিয়েছিল হাওয়া অফিস। তবে স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় চিকিৎসা ও ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে। পাশাপাশি উদ্ধারকাজেও হাত লাগিয়েছে। কিন্তু এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলেও জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।